ভোট, ঈদ আর নিম্নচাপের
দাপটে পিছোচ্ছে লিগ

প্রথমে পঞ্চায়েত ভোট, তারপর রমজান মাস শেষে ঈদ। তারপর নিম্নচাপের জেরে মাঠভরা জল। সব মিলিয়ে স্থানীয় ফুটবল লিগের অস্তিত্বের সংকট।
নানা কারণে পিছোতে পিছোতে নদিয়ার বিভিন্ন আঞ্চলিক বা ক্রীড়া সংস্থার ফুটবল লিগ প্রায় এক মাস বিলম্বে চলছে। অধিকাংশ জায়গায় দুর্গাপুজো পার করে ফুটবল লিগ শেষ হবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কোথাও খেলোয়াড়-কর্মকর্তারা মাঠে আসেনি, কোথাও নিম্নচাপের জেরে মাঠে জল। আবার কোথাও ভোটের কাজে লাগায় মাঠ আর ব্যবহারের যোগ্য নেই। সব মিলিয়ে অথৈ জলে এলাকার ফুটবল। নদিয়ার জেলা ক্রীড়া সংস্থার ‘স্পোর্টস ক্যালেন্ডার’ অনুসারে ২৪ থেকে ৩০ মার্চ ফুটবলের দলবদল। ২৪ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ক্রিকেটের দলবদল। সাধারণত দুর্গাপুজোর পর থেকেই বিভিন্ন এলাকায় ফুটবল শেষ হয়। তার পর ক্রিকেটের তোড়জোড়। অথচ এবারে অগস্টের শেষ সপ্তাহে এসেও জেলার ১৮টি জোনের বেশির ভাগই সাব জুনিয়র বা জুনিয়র লিগের খেলাই শেষ করতে পারেনি। বাকি আছে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডিভিশনের ফুটবল লিগ। নবদ্বীপ, কৃষ্ণনগর, নাকাশিপাড়া, তেহট্ট, করিমপুর, সর্বত্রই এক ছবি।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটের কারণেই মূলত এক মাসের বেশি পিছিয়ে গেছে জেলার ফুটবল তবে দেরিতে হলেও সব জায়গাতেই ফুটবল লিগ শেষ হবে।”
নবদ্বীপ আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থার সহকারী সম্পাদক লাল্টু ভুইয়া বলেন, “প্রথমে ভোট, তার সঙ্গে একমাস ধরে রমজানের জন্য গ্রামাঞ্চলে খেলোয়াড়দের দীর্ঘ সময় পাইনি। যখন খেলা শুরু হবে তখন এল নিম্নচাপ। সব মিলিয়ে গোটা ব্যাপারটা এক মাস পিছিয়ে গেছে। নবদ্বীপ জোনে সাবজুনিয়র শেষ হয়েছে। জুনিয়র চলছে। বাকি রয়েছে প্রথম ও দ্বিতীয় ডিভিশন।”
একই ছবি তেহট্ট, করিমপুরের। তেহট্টের এক ফুটবল কর্তা তথা জেলা ক্রীড়া সংস্থার ডেপুটি সেক্রেটারি গৌতম বিশ্বাস বলেন, “জলের জন্য আমাদের মাঠ নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। তবে সাব জুনিয়র লিগের ৮ দলের খেলা আর ১২ দলের জুনিয়র লিগ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয়, তৃতীয় লিগের খেলা শুরু করা যায়নি।” কৃষ্ণনগর জোনে সাব জুনিয়র লিগের ফাইনাল বাকি। জেলা ক্রীড়া সংস্থার ডেপুটি জেনারেল সেক্রেটারি এবং কৃষ্ণনগরের ফুটবল কর্তা সমীর বিশ্বাস বলেন, “এখানে সাব জুনিয়রে ১৪টি, জুনিয়রে ১৬টি এবং সিনিয়রে ১৮টি খেলা বাকি রয়ে গেছে। খুব তাড়াতাড়ি সিনিয়র লিগ শুরু হবে।”
পঞ্চায়েত ভোটের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত নাকাশিপাড়া জোন। জেলার সবচেয়ে বড় ফুটবল জোনের আসল মাঠটি পঞ্চায়েত ভোটের কাজের জন্য দারুণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় ফুটবলের প্রথম ডিভিশনের সব খেলাই এখানে ‘গেটমানি’র মাধ্যমে হয়। বেথুয়াডহরির জে সি এম হাইস্কুলের মাঠটি এলাকার সবচেয়ে ভাল ফুটবল মাঠ। ভোটের কাজ হয়েছে এই মাঠেই। তার নিট ফল মাঠভর্তি বড় বড় গর্ত। বাস-লরি আর ছোট গাড়ির দাপাদাপিতে মাঠ জুড়ে দগদগে ক্ষত। স্থানীয় ফুটবল কর্তা এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার ফুটবল সম্পাদক অরুণ সরকার বলেন, “মাঠের যা অবস্থা তাতে দু’বছর ওই মাঠে ফুটবল কেন, কোনও কিছুই হবে না। প্রশাসনকে বারবার বলা হয়েছে। ওঁরা আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু কবে ঠিক হবে তা বলেননি।”
চোখজুড়ানো সবুজ মাঠে এখন লম্বা লম্বা গাড়ির চাকার গর্ত। অন্য মাঠে খেলতে অস্বীকার করেছে স্থানীয় ক্লাবগুলো। সব মিলিয়ে দারুণ সমস্যা লিগ ফুটবলের।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.