|
|
|
|
তৃণমূলের জেলা অফিস রবীন্দ্রনগরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আগে বেশ কয়েকবার তোড়জোড় হয়েছিল। তবে তৃণমূলের জেলা কার্যালয় তৈরির জন্য জমি কেনা সম্ভব হয়নি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পেতেই নতুন জেলা কার্যালয়ের জন্য জমি কিনে ফেলেছে শাসকদল। মেদিনীপুর শহরের রবীন্দ্রনগরে গড়ে উঠতে চলেছে তৃণমূলের জেলা অফিস। জমি কেনা হয়েছে একটি সমিতির নামে। প্রয়াত অজিত ভুঁইয়ার নামে সমিতির নাম রাখা হয়েছে। দাসপুরের প্রাক্তন বিধায়ক অজিতবাবু এক সময় দলের জেলা সভাপতি ছিলেন। গত বছর তিনি মারা যান। সমিতির নামে কেনা ওই জমির সামনে ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নামে ফ্লেক্স ঝোলানো হয়েছে।
তবে কাজ কবে শুরু হবে? তৃণমূল সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বরের গোড়ায় জেলা পরিষদের বোর্ড গঠন হবে। তার পরই পুরোদমে কাজ শুরুর চেষ্টা চলছে। মেদিনীপুরের বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান মৃগেন মাইতি বলেন, “জেলা অফিস তৈরির জন্য জমি কেনা হয়েছে। কাজ কবে শুরু হবে সে বিষয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।” তার আগে শুভ দিন দেখে ভিতপুজোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলায় বেশ কিছু ব্লক এবং শহরে দলের বড় অফিস থাকলেও জেলা অফিস নেই। অতীতে দেখা গিয়েছে, যখন যিনি দলের সভাপতি হয়েছেন, তিনি পছন্দের জায়গায় অস্থায়ী জেলা অফিস করে কাজ চালিয়েছেন। এখন দলের কাজকর্ম হয় ফেডারেশন অফিস থেকে। |
এখানেই তৈরি হবে নতুন কার্যালয়। —নিজস্ব চিত্র। |
রাজ্যে পালাবদলের পর তৃণমূল প্রভাবিত সব কর্মচারী সংগঠনকে এক ছাতার তলায় আনতে উদ্যোগী হন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো রাজ্যস্তরে ইউনাইটেড স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশন তৈরি হয়। মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেনবাবুকে চেয়ারম্যান করে রাজ্যের কোর কমিটি গঠন হয়। জেলাস্তরে ইউনাইটেডের কমিটি গড়া হয়। সেই কমিটির অফিসেই মেদিনীপুরের বিধায়কের অনুমতি নিয়ে বসে দলের কাজকর্ম দেখভাল করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়। এক দশক আগে অজিত ভুঁইয়া যখন তৃণমূলের জেলা সভাপতি ছিলেন, তখন থেকেই দলের জেলা অফিস তৈরির উদ্যোগ শুরু হয়। এরপর জেলা সভাপতি হন মৃগেন মাইতি, তারপর প্রণব বসু। তবে জেলা কার্যালয় হয়নি। অবশেষে জেলা কার্যালয় তৈরির সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে শুরু করেছে।
দলীয় সূত্রে খবর, রবীন্দ্রনগরে একলপ্তে তিন কাঠার কিছু বেশি জমি কেনা হয়েছে। ওই জমি অবসরপ্রাপ্ত এক কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর। তিনি ভিন্ রাজ্যে থাকেন। গত শুক্রবার জমির মালিকানা বদল হয়েছে। যে এলাকায় তৃণমূলের জেলা অফিস তৈরি হবে, তার গা ঘেঁষে চলে গিয়েছে কেরানিতলা-কালেক্টরেট মোড় রাস্তা। আশপাশে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিস, জেলাশাসকের অফিস, মহকুমাশাসকের (সদর) অফিস। জায়াগাটা গুরুত্বপূর্ণ। জমির দাম কত পড়ল? নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের এক জেলা নেতা বলেন, “ওই এলাকায় জমির দাম কাঠাপিছু ২০-২২ লক্ষ টাকা। আমরা অবশ্য কিছুটা কম দামেই জমিটি পেয়েছি। কর্মীদের অর্থ সাহায্যেই জমি কেনা সম্ভব হয়েছে।” |
|
|
|
|
|