হাওড়ায় সভাধিপতি হলেন করবী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
|
হাওড়া জেলা পরিষদে এই প্রথম বামবিরোধী সভাধিপতি হচ্ছেন তৃণমূলের করবী ধুল। সোমবার কলকাতার টাউন হলে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভাধিপতি হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা করেন। ১১ সেপ্টেম্বর
|
করবী ধুল।
—
নিজস্ব চিত্র। |
জেলা পরিষদে বোর্ড গঠন হওয়ার কথা। ভোটাভুটির পরে ওই দিন করবীদেবী সভাধিপতি হিসাবে শপথ নেবেন বলে জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর। বামফ্রন্ট শাসিত আগের জেলা পরিষদের সভাধিপতি ছিলেন মীনা ঘোষ মুখোপাধ্যায়। করবীদেবীকে নিয়ে পর পর দু’বার মহিলা সভাধিপতি পেতে চলেছে হাওড়া জেলা পরিষদ।
এ বারে এই আসনটি ছিল তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। জেলা পরিষদে একাধিক আসনে তৃণমূলের তফসিলি পুরুষ সদস্য রয়েছেন। কিন্তু দলনেত্রী এই পদে মহিলা সদস্যকেই বেছে নিয়েছেন। করবীদেবী পুরোদস্তুর গৃহবধূ। স্বামীর ব্যবসা রয়েছে। তাঁদের এক মেয়েও রয়েছে। এ দিন গর্বিত করবীদেবী বলেন, “জেলা সভাধিপতি হিসাবে কাজ করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি। দিদির মতো মানুষের সঙ্গেই থাকব।”ধুলাসিমলায় জেলা পরিষদের ২০ নম্বর আসন থেকে করবীদেবী নির্বাচিত হয়েছেন। বাড়ি ধুলাসিমলায়। আগে কখনওই তিনি পঞ্চায়েত স্তরের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। জেলা পরিষদে প্রথম বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই হারিয়েছেন ফব প্রার্থীকে।
এলাকাটি পড়ে উলুবেড়িয়া বিধানসভা কেন্দ্রে। তৃণমূল বিধায়ক পুলক রায় বলেন, “আমরা সে রকম কিছু ভেবে করবীদেবীকে নির্বাচনে দাঁড় করাইনি। তবে তিনি বরাবর বাম-বিরোধী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আমাদের দলনেত্রীর অনুগামী।”
এ দিন জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি হিসেবে অজয় ভট্টাচার্যের নামও ঘোষণা করেন মমতা। আন্দুলের বাসিন্দা অজয়বাবু এ বারে বাগনানের জেলা পরিষদের ৩০ নম্বর আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হারিয়ে দেন বামপ্রার্থীকে। এর আগের বামশাসিত জেলা পরিষদে তিনি বিরোধী দলনেতা ছিলেন। |