জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহবুব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া
|
হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি হচ্ছেন পুড়শুড়ার শেখ মেহবুব রহমান। সহ-সভাধিপতি পোলবার চামেলি মুর্মু। দলনেতা করা হয়েছে হরিপালের বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সমীরণ মিত্রকে। সোমবার কলকাতার টাউন হলে দলের জেলা নেতাদের এক বৈঠকে ডেকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
|
শেখ মেহবুব
রহমান।
—নিজস্ব চিত্র। |
মেহবুব পুড়শুড়ার তৃণমূল বিধায়ক পারভেজ রহমানের ভাই। দলের জেলা নেতাদের অনেকেরই বক্তব্য, ন্যূনতম রাজনীতির পাঠ নেই তাঁর। এলাকাতেও কেউ তাঁকে চেনেন না। বিধায়কের ভাই বলেই তাঁকে জেলা পরিষদের গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁদের ক্ষোভ, দলের খারাপ সময়েকাজ করেছেন, জেলা পরিষদে জয়ীদের মধ্যে এমন অনেকেই ছিল। তাঁদের উপেক্ষা করা হল। যদিও খোদ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নাম ঘোষণা করায় প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলছেন না।
১৯৭৭ সাল থেকেই হুগলি বাম দুর্গ বলেই পরিচিত ছিল। সেই থেকেই জেলা পরিষদ বামেদের দখলে ছিল। এ বারেই প্রথম বাম-বিরোধীরা জেলা পরিষদের ক্ষমতায় এল। সভাধিপতি কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা ছিল। দলের এক জেলা নেতা বলেন, “সভাধিপতি বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও তোষণের রাজনীতিই বজায় রইল।” সিপিএমের পুড়শুড়া জোনাল কমিটির সম্পাদক সুখেন্দু অধিকারীর প্রতিক্রিয়া, “উনি সভাধিপতি! কলেজে পড়তে তো উনি এসএফআই করতেন।”
সভাধিপতি হওয়ার দৌড়ে ছিলেন কৃষিমন্ত্রী বেচারাম মান্নার স্ত্রী করবীদেবীও। আগের বার জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন তিনি। চণ্ডীতলার নবাবপুর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান আসফার হোসেন, সমীরণবাবুও সভাধিপতি পদের দাবিদার ছিলেন। তৃণমূল তৈরির পরে প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচনে (১৯৯৮) জিতে হরিপালের সহদেব পঞ্চায়েতের প্রধান হয়েছিলেন সমীরণবাবু।
মেহবুবের কথায়, “দিদির ভাবনাকেই বাস্তব করার চেষ্টা করব। যাঁরা বলছেন, রাজনীতির অভিজ্ঞতা আমার নেই, তাঁদের আমার কিছু বলার নেই।” জেলা পরিষদের কাজকর্ম যাতে নির্বিঘ্নে হয় তা নিশ্চিত করতে দলের তরফে একটি ‘মনিটরিং কমিটি’ তৈরি করা হয়েছে। |