তৃণমূলের বিজয়-মিছিল ঘিরে রাজনৈতিক অশান্তি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চণ্ডীতলা
|
পঞ্চায়েত ভোটের সাফল্যে হুগলির চণ্ডীতলায় একটি বিজয়-মিছিল থেকে সিপিএম সমর্থকদের বাড়ি ও দোকানে হামলা চালানো এবং মহিলাদের শ্লীলতাহানির আভিযোগ উঠল তৃণমূলের লোকজনের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ভগবতীপুর পঞ্চায়েতের কানাইডাঙা গ্রামের ঘটনা। তৃণমূল অভিযোগ মানেনি। তাদের পাল্টা অভিযোগ, সিপিএমের লোকেরাই তাদের মিছিলে হামলা চালায়। পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বার চণ্ডীতলা-১ ব্লকের ভগবতীপুর পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল। রবিবার বিকেলে কয়েকশো তৃণমূল কর্মী-সমর্থক বিজয় মিছিল বের করেন। অভিযোগ, মিছিলকারীরা কানাইডাঙায় সিপিএম সমর্থকদের বাড়ির সামনে বাজি ফাটাচ্ছিলেন। উত্তরপাড়ার বাসিন্দা সিপিএম কর্মী শ্রীচরণ বাগ এর প্রতিবাদ করলে তাঁকে মারধর করা হয়। এ থেকে দু’পক্ষের গোলমাল বাধে। শ্রীচরণবাবুর মেয়ে, স্ত্রী, ভ্রাতৃবধূ এবং প্রতিবেশী কয়েক জন মহিলাকে হেনস্থা করা হয়। মহিলাদের শ্লীলতাহানিও করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ এসে তখনকার মতো পরিস্থিতি সামলালেও রাত সাড়ে ১২টা স্থানীয় তিন তৃণমূল নেতা দলবল নিয়ে ফের ওই গ্রামে চড়াও হন এবং। সিপিএম সমর্থকদের চারটি বাড়িতে এবং কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। |
হামলার পরে।—নিজস্ব চিত্র। |
হামলার খবর পেয়ে ফের পুলিশ আসে। সিপিএমের অভিযোগ, পুলিশের উপস্থিতিতেই ভাঙচুর চালিয়ে হামলাকারীরা পালায়। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। পুলিশের দাবি, তাদের গাড়িতে হামলা করেন বিক্ষোভকারীরা। চণ্ডীতলা থানার ওসি সংগ্রাম চৌধুরী আরও বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে অবস্থা আয়ত্তে আনেন।
রাতেই সিপিএমের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। চণ্ডীতলার সিপিএম নেতা আজিম আলি বলেন, “আমাদের কর্মী-সমর্থকদের যে ভাবে মারধর ও মহিলাদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে, তার নিন্দার ভাষা নেই।” এই অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল দাবি করেছে, দলের পঞ্চায়েত সদস্য তাপসী ধাড়ার বাড়িতে এবং রাজকুমার ঘোষ নামে এক কর্মীর দোকানে ভাঙচুর চালায় সিপিএম। তৃণমূল নেতা সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, “সিপিএম পুরনো অভ্যাস ভুলতে পারেনি। একতরফা ভাবে আমাদের লোকজনের উপর আক্রমণ করে। আমাদের ছেলেরা যথেষ্ট সংযত ছিল। ওরা প্রতিরোধ করেছে মাত্র।” তবে, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তৃণমূলের তরফে এ নিয়ে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। |