ছেলের খোঁজ দিতে মাকে উড়ো ফোন, রহস্য জটিল
তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ ছেলের জন্য দুর্ভাবনায় দিশাহারা মা। এমন সময়েই ছেলের খোঁজ দিতে চেয়ে ভুয়ো ফোন এল তাঁর কাছে। আশায় বুক বেঁধে দিনভর ছোটাছুটি করলেন মা। তদন্তের পরে দিনশেষে পুলিশ জানাল, উড়ো ফোনে কেউ প্রতারণা করেছে। ছাত্র নিখোঁজ নিয়ে দানা বাঁধা রহস্য দিনের ফোনে আরও ঘোরালো হয়েছে।
কিংশুক চক্রবর্তী নামে ওই তরুণ ৩১ জুলাই থেকে নিখোঁজ বলে তাঁর মা, আইনজীবী রঞ্জনা চক্রবর্তী শনিবার ঠাকুরপুকুর থানায় অভিযোগ করেন। ছেলে সরশুনায় রঞ্জনাদেবীর বাপের বাড়িতে তাঁর সঙ্গেই থাকত। ওই মহিলার দাবি, তাঁর ছেলে বছর ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পান। রঞ্জনাদেবী ৩১ জুলাই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে ভর্তির নিয়মবিধি জেনে ছেলেকে ফোন করে সব শংসাপত্র নিয়ে চলে আসতে বলেন। কিন্তু ছেলে আসেননি। মহিলা বাপের বাড়িতে ফিরে জানতে পারেন, ছেলে স্নান -খাওয়া সেরে সব শংসাপত্র নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। ২৪ অগস্ট পর্যন্ত ছেলের হদিস না -পেয়ে থানায় ডায়েরি করেন রঞ্জনাদেবী।
পুলিশ জানায়, সোমবার রঞ্জনাদেবী সোদপুর থেকে ট্রেনে সরশুনায় ফিরছিলেন। অভিযোগ, আগরপাড়ায় পৌঁছলে তাঁর মোবাইলে অজানা নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোনে এক ব্যক্তি পরিচয় দেন, তিনি বাঁকুড়া মেডিক্যালের চিকিৎসক জয়ন্ত চক্রবর্তী। তিনি জানতে চান, রঞ্জনাদেবীর ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন কি না। তার পরে জানান, তাঁর ছেলে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। যাতায়াতের খরচ দিলে ছেলেকে বাড়ি পৌঁছে দেবেন। রঞ্জনাদেবী বিষয়টি রেল পুলিশকে জানান। তিনি বাপের বাড়িতে ফিরে সব জানালে তাঁর দাদা ওই নম্বরে ফোন করেন। তাঁর দাদাকেও ওই ব্যক্তি একই কথা বলেন এবং তাঁর ফোনে ৪০০ টাকার রিচার্জ করে দিতে বলেন। সন্দেহ হওয়ায় লালবাজারে সব জানানো হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, রঞ্জনাদেবীকে ফোনটি করা হয়েছিল নরেন্দ্রপুর থেকে। তবে ওই ফোনের সিমকার্ডটি শীলা লাল বলে কালীঘাটের এক মহিলার নামে। রাত পর্যন্ত কেউ ধরা পড়েনি।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.