কলকাতা ও শহরতলিতে উড়ালপুল, পানীয় জল, সড়ক নির্মাণের মতো ১৫টি প্রকল্প রূপায়ণে কেন্দ্রের কাছে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা মঞ্জুর করার দাবি জানাল রাজ্য সরকার। বর্তমানে নগরোন্নয়ন সংক্রান্ত পরিকল্পনার খরচ কেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট রাজ্য দিয়ে থাকে। কিন্তু রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে খরচের প্রায় গোটাটাই কেন্দ্রকে দেওয়ার জন্য আজ আবেদন জানালেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আজ দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক আয়োজিত একটি বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী কমল নাথের কাছে ওই আবেদন জানান ফিরহাদ।
নতুন কোন উদ্ভাবনী রাস্তা নিলে নাগরিক পরিষেবার মান বাড়ানো সম্ভব, তা খুঁজতেই আজ দিল্লিতে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ও মেয়রেরা। বৈঠকে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে পরিষেবা সংক্রান্ত ক্ষেত্রগুলিতে সরকারি -বেসরকারি অংশীদারিত্ব আরও বাড়ানোর উপরে জোর দেওয়া হয়। রাজ্যের পক্ষ থেকে ফিরহাদ হাকিম নিউ টাউন এলাকার সার্বিক পরিকাঠামো ও সবুজায়ন বাড়াতে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি জানান। এ ছাড়া গার্ডেনরিচ, চন্দননগর, বাটানগরের উড়ালপুল নির্মাণে কেন্দ্রীয় সাহায্যের দাবিও তোলেন তিনি। ওই উড়ালপুলগুলি ছাড়াও কলকাতা ও শহরতলিতে পরিস্রুত পানীয় জল ও সড়ক নির্মাণ এমন মোট ১৫টি প্রকল্পের জন্য মোট ৭৫০ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সাহায্য কমল নাথের কাছে দাবি করেন ফিরহাদ। রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে প্রকল্প সংক্রান্ত সব পরিকল্পনা -রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। ওই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই আর্থিক সাহায্যের বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র। দিল্লিতে আজকের বৈঠকে অধিকাংশ রাজ্যের মেয়রদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁদের হাতে আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই। ফলে চাইলেও কাজ করা সম্ভব হয় না। বৈঠকে মেয়রদের পক্ষ থেকে আর্থিক ক্ষমতা দেওয়ার জন্য দাবি জানানো হয়। ফিরহাদের দাবি, গোটা দেশে সম্ভবত একমাত্র কলকাতা পুরসভার মেয়রের হাতেই আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। তিনি বলেন, “কলকাতা পুরসভার নিজস্ব বাজেট রয়েছে। তা ছাড়া, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে প্রাপ্ত ঋণও পুরসভা নিজেরাই খরচ করতে পারে।” কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভার মডেলটি গোটা দেশে রূপায়িত করা যায় কি না, তা -ও খতিয়ে দেখছে মন্ত্রক। পাশাপাশি, আজকের বৈঠকে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জাতীয় জীবিকা মিশন চালু করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর -দারিদ্র দূরীকরণ মন্ত্রী গিরিজা ব্যাস বলেন, “শহরের বেকার যুবকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজ দেওয়ার জন্য ওই পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এটির জন্য জেএনএনইউআরএম প্রকল্পের ২০ শতাংশ অর্থ ওই খাতে রাখা হবে।” |