সেখানে সেই দাম এবার নেমে এসেছে ১০০০-১৫০০ টাকায়। মির্জাপুর গ্রামের শ্যামাপদ মাইতি, দক্ষিণচক গ্রামের কার্তিক প্রধান, খেজুরদা গ্রামের শঙ্কর গিরির মতো চাষিদের অভিযোগ, “এবার এক কুইন্ট্যাল বাদাম উৎপাদনে খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা। তার অর্ধেক দামও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। দাম না পেলে বাঁচার সুযোগ নেই।”
সারা ভারত কৃষক ও খেতমজুর সংগঠনের নেতা নন্দ পাত্র, জগদীশ সাউরা বলেন, “গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আমরা সাংগঠনিকভাবে বাদাম বিপননের ব্যাপারে সরকারি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে দরবার করছি। বিপননের জন্য সুনির্দিষ্ট বাজার তৈরি করে চাষিদের সহায়তা করা, ব্লকে ব্লকে শস্য মজুত ভাণ্ডার তৈরি করার কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু সরকার কোনও উদ্যোগ না নেওয়ায় আড়তদারদের কাছে কম দামে চাষিরা ফসল বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে লোকসান বাড়ছে।”এগরা মহকুমার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ামক ধীরাজ সিংহ বলেন, “সহায়ক মূল্য ঘোষণা করে বাদাম কেনার ব্যপারে সরকারি কোনও নিয়ম নেই। তাই এই মুহূর্তে চাষিদের দাবি মানা সম্ভব নয়। দাবিগুলি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।” এগরা মহকুমার চিনাবাদাম ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক কনককান্তি বেরা জানান, বৃষ্টি ও অন্যান্য কারণে এ বার এগরার বাদামের গুণগত মান খারাপ। তাই ভিন্ রাজ্যে এর চাহিদা নেই। কুইন্ট্যাল প্রতি দাম এক থেকে দেড় হাজার টাকার মধ্যেই রয়েছে। আমরা বেশি দামে বাদাম বিক্রি করতে না পারলে কিনব কী করে? |