মার্সিডিজ বেঞ্জের মানচিত্রে ক্রমশ গুরুত্ব বাড়ছে ভারতের। এ বার সংস্থার ‘জিএল ক্লাস’ গাড়িটিও তৈরি হবে এ দেশে। যা এত দিন শুধুমাত্র আমেরিকার তাসকালুসা কারখানায় তৈরি হত। জার্মান বহুজাতিকটির এমডি তথা সিইও এবারহার্ড কার্ন ও অন্য পদস্থ কর্তারা সোমবার ইঙ্গিত দেন, ভবিষ্যতে আরও কয়েকটি গাড়ি পুণের অদূরে চাকনে সংস্থার কারখানায় তৈরির ব্যবসায়িক সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হবে। ভবিষ্যতে ভারতে আরও নতুন গাড়িও আনা হবে।
মে মাসেই দেশে জিএল-ক্লাস গাড়ি এনেছিল তারা। এত দিন তা সম্পূর্ণ গাড়ি হিসেবে আমদানি হলেও, এ বার থেকে চাকনের কারখানাতেই যন্ত্রাংশ জুড়ে তৈরি হবে। সাধারণ রাস্তা ছাড়াও পাকদণ্ডির চড়াই-উৎরাইয়েও চলার উপযোগী গাড়িটি। পুণেতে যার দাম পড়বে ৭২.৫৮ লক্ষ টাকা। এ দিন আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রথম গাড়িটি বেরোল চাকনের কারখানা থেকেই। এত দিন এখানে ই, এস, সি এবং এম ক্লাস, এই চারটি গাড়ি যন্ত্রাংশ জুড়ে তৈরি করত তারা। তবে অন্যান্য গাড়ি পুরোদস্তুর আমদানি করা হয়।
সার্বিক ভাবে ভারতের গাড়ি বাজার কিছুটা ধাক্কা খেলেও দামি গাড়ির ক্ষেত্রে ছবিটা উল্টো। স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্লের (এসইউভি) চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তাই ২০১৩-তে ‘আক্রমণাত্মক’ বিপণন কৌশল নেবে বলে আগেই ঘোষণা করেছে মার্সিডিজ। বাজার বাড়াতে একের পর এক নতুন গাড়িও আনছে তারা। প্রথম ছ’মাসে ৪৫৭৫টি গাড়ি বিক্রি হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ২২% বেশি। এখন তাদের মোট সম্ভারের ৭৫% গাড়িই তৈরি হয় ভারতে।
এ এবং বি ক্লাস গাড়ি দু’টি ভারতের বাজারে আনলেও সেগুলি পুরোদস্তুর আমদানি করে সংস্থাটি। কবে সেগুলিও এখানে তৈরি হবে, তা নিয়ে বাজারে জল্পনা রয়েছে। কোনও সময়সীমা স্পষ্ট না-করলেও কার্ন জানান, সার্বিক ভাবেই ভারত মার্সিডিজ-বেঞ্জের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কী ভাবে ভারতের বাজারে এ এবং বি ক্লাস-এর জোগান বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা করতে সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই তাঁরা জার্মানি যাবেন। আগামী দিনে সিএলএ, জিএলএ এবং জিএলকে ক্লাস গাড়িগুলিও দেশের বাজারে আনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে সংস্থা সূত্রের খবর। কার্নও জানান, সিএলএ গাড়িটির বিষয়ে আলোচনা চলছে। আগামী বছরের গোড়ায় ছবিটা আরও স্পষ্ট হবে বলে তাঁর ইঙ্গিত। |
ফোর-জি নিয়ে পুরসভার শর্তে ছাড় দাবি রিলায়্যান্সের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ফোর-জি টেলিকম পরিষেবা নিয়ে কলকাতা পুরসভার দেওয়া চুক্তির শর্তে কিছু ছাড় চেয়ে আবেদন জানিয়েছে রিলায়্যান্স। গত ৫ অগস্ট রিলায়্যান্সের এক কর্তাকে ওই চুক্তির খসড়া জমা দেয় পুর প্রশাসন। ওই শর্তে তাঁরা একমত কি না, তা জানাতে বলা হয়েছিল পুর প্রশাসনকে। পুরসভা সূত্রের খবর, একটি অংশে ছাড় দাবি করেছে রিলায়্যান্স। সোমবার তা নিয়েই বৈঠকে বসেন পুরসভার মেয়র পারিষদ (ইঞ্জিনিয়ারিং) অতীন ঘোষ এবং পুর কমিশনার খলিল আহমেদ-সহ পদস্থ আধিকারিকেরা। অতীনবাবু বলেন, শহরে ফোর-জি পরিষেবা নিয়ে রিলায়্যান্স ও এয়ারটেল পুরসভার কাছে আবেদন জানিয়েছে। রিলায়্যান্সের বিষয়টি নিয়ে আগামী শুক্রবার ফের আলোচনা হবে। |