অনুব্রত-র পছন্দকেই সিলমোহর
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
|
বিকাশ রায়চৌধুরী।
—নিজস্ব চিত্র |
জেলা সভাধিপতি ও সহ-সভাধিপতি কে হবেন, তা পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরেই বোলপুরে তৃণমূল কার্যালয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল। সোমবার সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়েছে। সভাধিপতি হন দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের
অনুগামী বিকাশ রায়চৌধুরী ও সহ-সভাধিপতি হন রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহধন্য রাখি লেট। এ দিন জেলা পরিষদের জয়ী ২৫ জন তৃণমূল সদস্যদের একটি দল কলকাতায় গিয়ে দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সভাধিপতি ও সহ-সভাধিপতি কে হবে, তা আগে ঠিক হয়ে গেলেও এ দিন দলের দলনেতা হিসেবে নাম বিবেচিত হয় মুরারই থেকে জিতে আসা প্রদীপ ভকতের। মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ছিলেন জেলার এক মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। তিনি বলেন, “নির্বাচিত সমস্ত সদস্যরাই দিদির সঙ্গে পরিচিত হলেন। আগে থেকে ঠিক ছিল সভাধিপতি ও সহ-সভাধিপতির নাম। এ দিন পরিচয়পর্ব হল। দিদির শুভেচ্ছা নিয়ে সবাই ফিরছেন।”
পুরনো খবর: অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিকাশই সভাধিপতি
|
নানুরে স্কুলভোটে জয় সিপিএমের
নিজস্ব সংবাদদাতা • নানুর |
পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী দিতে না পারলেও এলাকার স্কুল পরিচালন সমিতির ক্ষমতার পুনর্দখল করল সিপিএম। রবিবার ছিল নানুরের যুবুটিয়া জপেশ্বর বিদ্যামন্দিরের পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন। ওই নির্বাচেনে ৬টি আসনেই জয়লাভ করেছে সিপিএম তথা বামফ্রন্টের প্রার্থীরা। এর আগেও এই স্কুল পরিচালন সমিতি ছিল বামেদের দখলে। স্কুলটি কীর্ণাহার ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন। এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির কোনও আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি সিপিএম তথা বামফ্রন্ট। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জয়লাভ করেছে। এর আগে পঞ্চায়েতটি ছিল সিপিএমের দখলে। তবে কেবলমাত্র এলাকার জেলা পরিষদের আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পেরেছে সিপিএম। ওই আসনেই জয়লাভও করেছে তারা। তার পরেই এই স্কুল পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে জয়ের ফলে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত সিপিএম। দলের নানুর জোনাল কমিটির সম্পাদক হাসিবুর রহমান বলেন, “স্বচ্ছ নির্বাচন হলে আমরাই জয়লাভ করতাম। স্কুলের এই ফলাফলই তার প্রমাণ।” অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের নানুর ব্লক কার্যকরী সভাপতি অশোক ঘোষ বলেন, “স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচনে কেন এমন হল খতিয়ে দেখা হবে।”
|
পুরভোটে লড়বেন ৫৯
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
আসন্ন দুবরাজপুর পুরভোটের জন্য মোট ৬০টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। একজন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় সেই সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৯। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল সোমবার। মহকুমাশাসক (সিউড়ি সদর) চন্দ্রনাথ রায়চৌধুরী বলেন, “দুবরাজপুর পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী তাঁর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।” অতিরিক্ত প্রার্থীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে সিপিএমের তরফে জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৬টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট দুবরাজপুর পুরভোটের ময়দানে রয়েছেন তৃণমূল, কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের ১৬ জন করে প্রার্থী (বামেদের মধ্যে সিপিএম ১৩ এবং ফব ৩) এবং বিজেপির ১১ জন প্রার্থী।
|
ফের বিপর্যস্ত বিএসএনএল পরিষেবা। ফলে সমস্যায় পড়েছেন কয়েক হাজার গ্রাহক। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকেই সাঁইথিয়া এলাকায় বিএসএনএলের মোবাবাইল ও ল্যান্ডলাইন পরিষেবা ব্যাহত হয়। অথচ অন্য বেসরকারি সংস্থাগুলির পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল। সরকারি সংস্থার লাইন রবিবার থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়নি। কেন, কী সমস্যা খোঁজ নিতে সাঁইথিয়ায় বিএসএনএলের অফিসে গিয়েও সদুত্তর পাননি গ্রাহকেরা। তবে কর্মীরা জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য সমস্যা চলছে। দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন। এ দিন ফোন ধরেননি বিএসএনএলের বীরভূম জেলার জেনারেল ম্যানেজার সুব্রত মুখোপাধ্যায়। |