হাইকোর্টে আগাম জামিন হৃদয়দের |
পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই একাধিক মামলায় নাম জড়িয়েছিল। সোমবার তারই একটিতে আগাম জামিন পেলেন হৃদয় ঘোষ।
বীরভূমের পাড়ুই থানার কসবা পঞ্চায়েতের বাঁধ নবগ্রামে নিহত সাগর ঘোষের ছেলে হৃদয়-সহ ১০ জনের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। যাঁরা জামিন পেলেন, এলাকায় তাঁরা তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মী বলে পরিচিত। রাজনীতিতে দলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধী- গোষ্ঠীতেই অবস্থান তাঁদের।
তৃণমূলেরই কসবা অঞ্চল কমিটির চেয়ারম্যান নারায়ণচন্দ্র ভাণ্ডারী বলেন, “একাধিক মিথ্যা মামলায় আমাদের জড়ানো হয়েছে। হাইকোর্ট আগাম জামিন দেওয়াতে আমাদেরই নৈতিক জয় হল।” অভিযুক্তদের দাবি, প্রবল বিরোধিতার আশঙ্কায় ভোটের আগে থেকেই কসবার বিক্ষুব্ধদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। তাই ভোটের বহু আগে থেকেই গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে এলাকাছাড়া ছিলেন অধিকাংশ বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মী। গত মার্চে তাঁরা এক বার হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন।
গত ১৪ জুলাই পাড়ুই থানায় তিনটি পৃথক এফআইআর-এ কসবা পঞ্চায়েতের পরাজিত নির্দল প্রার্থী হৃদয়বাবু-সহ মোট ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন অনুব্রত-গোষ্ঠী। অভিযোগ ছিল, নির্বাচনী প্রচার সেরে অনুব্রতরা যখন ফিরছিলেন, তখন হৃদয়-সহ অন্যরা তাঁদের বোমা মারেন। গত ৫ অগস্ট ফের জামিনের আবেদন করেন হৃদয় ঘোষ, নবগঠিত কসবা পঞ্চায়েতের নির্দল প্রধান শঙ্করী দাসের স্বামী নিমাই দাস, জয়ী নির্দল সদস্য শেখ বিরাজুল, দলের অঞ্চল সম্পাদক বিকাশ মণ্ডল, সভাপতি নিখিল পাল ও চেয়ারম্যান নারায়ণচন্দ্র ভাণ্ডারী-সহ অনুব্রত-বিরোধী গোষ্ঠীর একাধিক নেতা-কর্মী।
হৃদয়বাবুদের আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ জানান, ২১ জুলাই হৃদয়বাবুর বাবা সাগর ঘোষ খুন হন। সাগর ঘোষের খুনে প্রধান অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল। সঞ্জীববাবুর দাবি, “ঘটনা পরম্পরা দেখলেই বোঝা যায়, ১৪ জুলাই করা এফআইআর সাজানো।” দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি নিশিতা মাত্রে ও বিচারপতি কাঞ্চন চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনকারীদের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন।
হৃদয়বাবু বলেন, “শাসক গোষ্ঠী আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। নিরপেক্ষ তদন্ত হলে কোনও মামলাই ধোপে টিকবে না।”
অনুব্রতর মন্তব্য, “এ নিয়ে আমি আর কী বলব!” |