আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সময় যতই এগিয়ে আসছে, গোটা উপমহাদেশের রক্তচাপ ততই বাড়ছে। আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে হিংসা অব্যহত। কাবুলে ভারতীয় দূতাবাস ধারাবাহিক ভাবে নিশানায় থাকছে তালিবান জঙ্গিদের।
এই অবস্থায় আজ থেকে শুরু হওয়া ইসলামাবাদ-কাবুলের দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠকের দিকে নজর রাখছে সাউথ ব্লক। আজ এক দিনের সফরে ইসলামাবাদে এসেছেন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। পাকিস্তানে নওয়াজ শরিফ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে এই প্রথম বৈঠকে বসলেন দু’দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব।
দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফরে গিয়ে গত সপ্তাহে আফগান নেতৃত্বের সঙ্গে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে এসেছেন বিদেশসচিব সুজাতা সিংহ। ভারত জানিয়েছে, পরিস্থিতি যা-ই হোক, কাবুলের পাশে থাকতে চায় নয়াদিল্লি। সমস্ত রকম উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নিয়ে কথা হয়েছে। গোটা অঞ্চলের পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তা প্রসঙ্গেও মত বিনিময় করেছে ভারত-আফগানিস্তান। আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের পাক সফরের ঠিক আগেই সুজাতা সিংহের কাবুল যাত্রা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা। পাশাপাশি তাঁদের মতে, পাকিস্তানকে পুরোপুরি বাদ দিয়ে তালিবানের সঙ্গে সমঝোতা করা কারজাইয়ের পক্ষে সম্ভব নয়। পাকিস্তানে নওয়াজ শরিফ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সদর্থক ইঙ্গিত দিয়েছে। সেই সুযোগই নিতে চাইছেন কারজাই। এখন পাকিস্তানে বন্দি রয়েছেন তালিবান নেতা মোল্লা আব্দুল ঘানি বরাদর। তাঁকে মুক্তি দিতেও পাক সরকারকে অনুরোধ করেছেন কারজাই। বরাদর তালিবানের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতে পারেন, আশা কাবুলের। এ নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়ায় তাঁদের পূর্ণ সমর্থন আছে বলে জানান শরিফ। কূটনৈতিক সূত্রে খবর, আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বহু গুণ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। তাই কাবুলের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরির বিষয়ে শরিফের উপরে চাপ রয়েছে পাক শিল্প মহলেরও। |