কম্পিউটারে নিধনের খেলা খেলতে খেলতে আট বছরের পুঁচকে ছেলে মেরে ফেলল নিজের ঠাকুরমাকেই। ঘটনাটি ঘটেছে লুইজিয়ানার স্লটারে। পুলিশের দাবি, ভিডিও গেম খেলার পরই ঠাকুরমাকে গুলি করে ছেলেটি।
মাথার পিছনে গুলি লাগায় মেরি স্মোদারস নামে ৮৭ বছর বয়সী মহিলা ঘটনাস্থলেই মারা যান। জানা গিয়েছে, যে বন্দুক থেকে ছেলেটি গুলি করেছিল সেটি মেরিরই। আত্মীয়দের জেরা করে জানা গিয়েছে, মেরি এবং ছেলেটির মধ্যে যথেষ্ট স্নেহের সম্পর্ক ছিল। ঠাকুরমা-নাতি একই ঘরে থাকতেন। তা সত্ত্বেও ছেলেটি কেন এই কাজ করল, তা নিয়ে প্রথমে ধন্দে ছিল পুলিশ। ছেলেটি প্রথমে জানায়, ভুলবশত গুলি বেরিয়ে গিয়েছে। সে বন্দুকটা নিয়ে খেলছিল। তখনই কোনও ভাবে গুলি ছিটকে গিয়েছিল।
কিন্তু শেরিফের দফতর তা মানছে না। তদন্তে তারা বুঝেছে, ছেলেটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই ওই কাজ করেছে। মেরি তখন বসার ঘরে টিভি দেখছিলেন। ভিডিও গেম খেলার পরেই ছেলেটি পিছন থেকে গুলি চালায়। গুলি গিয়ে লাগে মেরির মাথার পিছনে। তবে খুনের দায়ে ছেলেটির বিরুদ্ধে কোনও চার্জ গঠন করা হবে না। লুইজিয়ানার আইন অনুযায়ী, দশ বছরের নীচে কোনও বালক অপরাধী নয়। ছেলেটি তাই এখন তার বাবা-মায়ের কাছে আছে।
শেরিফের দফতরের দাবি, ভিডিও গেমে হিংসার কাল্পনিক দুনিয়া ছাপ ফেলেছে ছেলেটির মনে। তাদের বক্তব্য, ‘খুনের কারণ কিছুটা অস্পষ্ট হলেও জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে, ছেলেটি যে গেম খেলছিল তাতে কাউকে মেরে ফেললে পয়েন্ট পাওয়া যায়। ফলে সেটার প্রভাব উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।’ গেম নির্মাতারা অবশ্য এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু ভিডিও গেম থেকে শিশুমনে প্রভাব পড়ার বিতর্ক নতুন নয়। কানেকটিকাটে স্যান্ডি হুক স্কুলে ২৬ জনের প্রাণ নিয়েছিল যে অ্যাডান লাঞ্জা, তারও সেই সব গেম ভাল লাগত যাতে মারামারি-কাটাকাটি থাকে।
ভিডিও গেম আরও বেশি প্রভাবিত করে তাদেরই যারা মানসিক ভাবে স্থিতিশীল নয়, জানিয়েছেন কলোরাডোর গভর্নর জন হিকেনলুপার। কলোরাডোর অরোরায় সিনেমা হলে গণহত্যার কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেছেন, “এই সব মানুষ নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। নিজেরাই ওই গেমের অংশ হয়ে যায়। তাই ভয়ানক অস্ত্র নিয়ে মানুষ মারতে চায় ওরা।” |
খেলতে খেলতে
সংবাদসংস্থা • জোহানেসবার্গ |
দিব্যি খেলছিল দু’জন। হঠাৎই বন্ধু সিবনজাইল মইমাকে গুলি করে খুন করল ছ’বছরের মেয়েটি। শনিবার দাদুর বন্দুক নিয়েই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে সে। শুক্রবার রাতে তাদের বাড়িতে ডাকাত পড়েছিল। ডাকাত ঠেকাতে মেয়েটির দাদু বন্দুকটি বের করেছিলেন। তার পর শোবার ঘরে সেটিকে খোলা জায়গায় রেখে দেন। সেটিই পেয়ে যায় নাতনি। আগ্নেয়াস্ত্রটি সুরক্ষিত জায়গায় না রাখার জন্য দাদুর বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। |