হারিয়ে যেতে বসা সাঁওতাল-সংস্কৃতির পুনরুজ্জীবনের উদ্দেশ্যে বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির তথা কর্মশালা শুরু হয়েছে ইলামবাজারের দ্বারোন্দা গ্রামে। ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রকের অধীন, কলকাতার ভারতীয় মানববিজ্ঞান সর্বেক্ষণ বিভাগ এই উদ্যোগের নেপথ্যে। ওই গ্রামে নাট্য গবেষক পার্থ গুপ্ত-র ‘ব্লসম থিয়েটার’-এর সদ্য তৈরি নাট্যমঞ্চে শনিবার শুরু হওয়া অনুষ্ঠানটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন কলকাতার ভারতীয় মানববিজ্ঞান সর্বেক্ষণের অধিকর্তা জি এস রাউতেলা, বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তপতী মুখোপাধ্যায়, বিশ্বভারতীর গ্রাম পুনর্গঠন ও শিক্ষার নবধারাচর্চা বিভাগের ডিরেক্টর অধ্যাপিকা সবুজকলি সেন-সহ বহু বিশিষ্ট জন।
বিভিন্ন জাতির সভ্যতা, সংস্কৃতি, ধারাবাহিকতা নিয়ে আলোচনা হয়। বক্তারা বিশেষ করে বিলুপ্তপ্রায় সভ্যতা-সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণা ও চর্চার ওপর গুরুত্ব দেন। এলাকার বহু সাঁওতাল সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষ যোগ দিয়েছেন। উদ্বোধনের দিন ‘ব্লসম থিয়েটার’-এর অভিনব নাট্যমঞ্চে তাঁরা সাওতাল-সংস্কৃতির নানা অনুষ্ঠানও পরিবেশন করেন। সেখানে সাওতাল সম্প্রদায়ভুক্ত গুরু বা শিক্ষকেরাও ওই জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন শিল্প-কলা নিয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। দ্বারোন্দায় আগামী ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মশালা চলবে।
|
‘নন্দন’ গ্যালারির প্রদর্শনী থেকে। —নিজস্ব চিত্র |
গত ১৭-২৩ অগস্ট বিশ্বভারতীর ‘নন্দন’ গ্যালারিতে একটি বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল কলাভবন। ওই প্রদর্শনীতে ছিল কলাভবনের তিন বিশিষ্ট প্রাক্তনী রামকিঙ্কর বেইজ, সুধীর খাস্তগীর এবং রানিচন্দের ৫৬টি শিল্পকর্ম। কলাভবনের অধ্যক্ষ শিশির সাহানার প্রচেষ্টায় আয়োজিত ওই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট চিত্রকর সনৎ কর। প্রসঙ্গত, কলাভবনের প্রথম দিকের ছাত্রী রানিচন্দের জন্মের এ বছর জন্ম সার্ধ শতবর্ষ চলছে।
|
নতুন ছেলে নটবর নাটকের একটি দৃশ্য। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী |
লীলা মজুমদারের তিনটি গল্প অবলম্বনে শান্তিনিকেতনের রবিবার লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে মঞ্চস্থ হয়েছে ছোটদের নাটক ‘নতুন ছেলে নটবর’, ‘সর্বনেশে মাদুলি’ ও ‘টাইগার’। উদ্যোক্তা ‘স্থাপনা’ নাট্যগোষ্ঠী। গৌতম মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশনা এবং দুর্বার রায়চৌধুরীর সম্পাদনায় তিনটি নাটকে পাঠভবন, শিক্ষাসত্র-সহ আশপাশের একাধিক স্কুলের পড়ুয়ারা অভিনয় করে। স্বভাবতই আপ্লুত পঞ্চম শ্রেণির রাইন দাস, বীথিকা সরেন, অষ্টম শ্রেণির প্রত্যুষ মুখোপাধ্যায়, একাদশ শ্রেণির প্রক্ৃতি মুখোপাধ্যায়রা। |