বিতর্ক দিয়ে শুরু। বিতর্ক দিয়েই শেষ অ্যাসেজ। ৪ ওভারে ২১ রান করলেই ইংল্যান্ডের হাতের মুঠোয় শেষ টেস্ট। অস্ট্রেলিয়াকে ৪-০ বিধ্বস্ত করার রাস্তায় বাধ সাধল প্রকৃতি। খারাপ আলোর সমস্যায় আম্পায়াররা ম্যাচ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। দর্শকদের বিদ্রুপের চোটে ওভালে তখন কান পাতা যাচ্ছে না। টুইটার, ফেসবুকে একের পর এক উত্তপ্ত মন্তব্য ভাসছে দু’পক্ষের সমর্থক, প্রাক্তন ক্রিকেটারদের। মাইকেল ভনের টুইট, “কী বিশ্রী একটা জোক। আশা করি আইসিসি বুঝতে পারছে খেলাটাকে ওরা শেষ করে দিচ্ছে!!!” পাঁচ মিনিটেই জেসন গিলেসপির পাল্টা টুইট, “এখানে আম্পায়ারদের দোষ দেওয়া যায় না। ওরা তো ওদের কাজটাই করেছে।” সরকারি ভাবে ইংল্যান্ডের ৩-০ সিরিজ জেতার আনন্দও তখন ছাপিয়ে যাচ্ছে বিতর্কের ঝাঁঝাল ধোয়ায়। |
সেই মুহূর্ত। আম্পায়ারের সঙ্গে আলোচনায় ক্লার্ক। ছবি: এফপি।
|
চতুর্থ দিনের খেলা বৃষ্টিতে প্রায় ধুয়ে যাওয়ার পরও পঞ্চম দিনের খেলা এমন উত্তেজক পর্যায়ে এসে দাঁড়াবে কেউই ভাবতে পারেননি। মাইকেল ক্লার্ক টি-এর পর যখন ইনিংস ডিক্লেয়ার করছেন অজিদের স্কোরবোর্ডে তখন ১১১-৬। ইংল্যান্ডের টার্গেট ৪৪ ওভারে ২২৭ রান। ৮৬ রানের মধ্যেই রুট আর কুক আউট হওয়ার পর ক্লার্কের হাসি যখন আরও চওড়া হচ্ছে, তখনই ওভালে ঝড় তুলে দেন কেভিন পিটারসেন (৬২)। তিনি ফেরার পর ট্রট দ্রুত আউট হয়ে গেলে মরিয়া হয়ে ওঠেন ক্রিস ওকস আর বেল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।
এ দিকে, কোনও টেস্ট সিরিজে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ নেওয়ার বিশ্বরেকর্ড করলেন ব্র্যাড হাডিন। অ্যাসেজের পাঁচটা টেস্ট মিলিয়ে ২৯টা ক্যাচ নিলেন অস্ট্রেলীয় কিপার। এর আগে ২৮টা ক্যাচ নিয়ে এই রেকর্ড ছিল রডনি মার্শের। যিনি এ দিন অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় নির্বাচক হিসেবে ওভালে উপস্থিতও ছিলেন। |