পাওনাদারেরা টাকা চাইতে বাড়িতে এসে মারধর করছিল ভাইকে। বাঁচাতে যাওয়ায় দিদিকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল। শুক্রবার সন্ধ্যায় মালদহের ইংরেজবাজার থানার বাবুপুর গ্রামের ওই ঘটনায় অভিযুক্ত চার যুবকই পলাতক। তবে তারা লোক পাঠিয়ে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ আক্রান্ত পরিবারের। আহত দিদি এবং ভাই মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি শুরু হয়েছে। ওই ছাত্রীর ভাইয়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা, মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ দায়ের হয়েছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উনিশ বছর বয়সী ওই ছাত্রীর ভাই দিনমজুরের কাজ করেন। স্থানীয় নুরুল আলম নামে এক যুবক তার কাছে হাজার তিনেক টাকা পেত। শুক্রবার রাতে সেই টাকা আদায় করতে নুরুল আলম তার তিন বন্ধুকে নিয়ে তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয়। টাকা না পেয়ে বাড়ির সামনেই তারা ছেলেটিকে মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ। সেই সময় টিউশন থেকে ফিরছিলেন স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় নবম শ্রেণিতে পড়া বছর একুশের ওই ছাত্রী।
তাঁর কথায়, “ভাইকে মার খেতে দেখে আমি এগিয়ে যাই। তখন ওরা চারজন আমার উপর চড়াও হয়ে লাঠিসোটা দিয়ে আমাদের মারধর শুরু করে। এরপর আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে পাশের ঝোপে ধর্ষণের চেষ্টা করে। চিৎকার করায় আশপাশের লোকজন এলে ওরা ন পালিয়ে যায়।”
ওই ছাত্রীর বাবা ভিনরাজ্যে দিনমজুরি করেন। তাঁর মায়ের অভিযোগ, “ধর্ষণের চেষ্টা তো করেইছে, মেয়ের কান থেকে দুলও ছিঁড়ে নিয়ে গিয়েছে ওই ছেলেগুলো। ওরা এখন লোকজন পাঠিয়ে আমাদের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে।” হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই ছাত্রী ও তাঁর ভাইয়ের মুখে ও শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত রয়েছে। ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের পযর্টনমন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, “অভিযুক্তেরা যাতে কোনও ভাবেই ছাড় না পায় তার জন্য জেলা পুলিশ সুপারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি।”
|
সন্ধ্যাবেলা জমজমাট রাস্তায় তিন কিশোর তাঁর উদ্দেশে কটূক্তি করেছে বলে অভিযোগ জানালেন এক গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ নেতাজি নগরের মোড়ে।, ওই গৃহবধূর অভিযোগ, ওই অঞ্চল দিয়ে যাওয়ার সময় তিন কিশোর তাঁর পিছু নেয়। তাদের মধ্যে এক জনের গায়ে স্কুলের পোশাক ছিল বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন অভিযোগকারী। বেশ কিছু ক্ষণ এই পর্ব চলে। |