র্যান্টি মার্টিন্স কি শেষ পর্যন্ত ইউনাইটেড স্পোর্টিংয়ের জার্সি পরেই মাঠে নামবেন? এরিক, বেলোরাও কি থাকবেন দলে?
লালকমল ভৌমিক, দীপক মণ্ডল, সংগ্রাম মুখোপাধ্যায়রা কি বেগুনি জার্সিতেই খেলবেন আই লিগ?
রবিবার সন্ধ্যায় পুরো চিত্র পরিষ্কার হয়ে যেতে পারে।
স্পনসরহীন ইউনাইটেড কর্তারা আজ, রবিবার বিকেলে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসছেন। তাঁদের টিমের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে।
চিটফান্ড নিয়ে রাজ্য জুড়ে ঝামেলার পর স্পনসর প্রয়াগ সরে দাঁড়ানোয় গত বার আই লিগের চার নম্বর দল তীব্র সমস্যায়। স্পনসরদের দোরে দোরে ঘুরেও বাংলার নামী এই ফুটবল দলের জন্য বড় কোনও স্পনসর এগিয়ে আসেনি। কিছু ছোট স্পনসরের কাছ থেকে মৌখিক প্রতিশ্রুতি পেলেও তা চূড়ান্ত রূপ নেয়নি এখনও। তিন প্রধানের জন্য সরকার কোটি টাকা এবং নানা ভাবে সাহায্য করলেও ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র বাংলার এই নামী ফুটবল দলের জন্য কিছুই করেননি। শুধু তাই নয়, ইউনাইটেড কর্তারা চিঠি দেওয়ার পরেও তাঁদের ডেকে কথা বলেননি। এই অবস্থায় কী করা হবে তা নিয়েই সভা হবে।
ক্লাব সচিব অলোকেশ কুণ্ডু বললেন, “আমরা তো টিম নামানোর জন্য একদম তৈরি। ফুটবলাররা যে ভাবে এই খারাপ সময়ে অনেক প্রলোভন উপেক্ষা করেও আমাদের জন্য অপেক্ষা করে বসে আছে, তাতে আমাদের ক্লাব সত্যিই কৃতজ্ঞ। কিন্তু টিম চালাতে গেলে তো অনেক টাকা দরকার। সেই টাকাটা আমরা এখনও জোগাড় করে উঠতে পারিনি। যাই হোক, রবিবার আমরা আলোচনায় বসছি। দেখি সবাই কী বলে।”
টিম নিয়ে কর্তারা দু’রকম ভাবনা চিন্তা করছেন।
এক) বুধবার থেকে অনুশীলনে নেমে পড়ুক দল। ফুটবলারদের কিছু টাকা কমিয়ে টিম নামানো হোক। স্পনসর এসে যাবেই।
দুই) ভিসা এবং অগ্রিম নিয়ে বসে থাকা র্যান্টি মার্টিন্স-সহ কিছু দামি খেলোয়াড়কে ছেড়ে দিয়ে কম বাজেটের তরুণ ফুটবলার নিয়ে দল গড়া হোক।
আই লিগের বাকি ১৩ দল নেমে পড়লেও ইউনাইটেডই একমাত্র দল যাদের অনুশীলন শুরুই হয়নি। কোচ এলকো সতৌরিও বসে আছেন দেশে। ক্লাব কর্তারা চাইলেই এসে পড়বেন। মাঠ নিয়ে অবশ্য সমস্যা আছে। কারণ সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কের যে মাঠটিতে র্যান্টি-লালরা অনুশীলন করতেন সেটার অবস্থাও খারাপ। ওই মাঠ মহমেডানকে অনুশীলন করার জন্য দেওয়া হয়েছিল। মাঠের অবস্থা এতটাই খারাপ যে আজিজ অনুশীলন করাতে চাননি টোলগে-পেনদের। ফলে দল নামালেও কোথায় অনুশীলন করবেন ইউনাইটেড ফুটবলাররা, তা নিয়ে সমস্যায় ক্লাব কর্তারা। |