প্রায় চার সপ্তাহ ধরে খোঁজ মিলছে না এক ছাত্রের। পুলিশ জানায়, কিংশুক চক্রবর্তী (১৯) নামে ওই যুবক ৩১ জুলাই থেকে নিখোঁজ। তাঁর মা রঞ্জনা চক্রবর্তী সে দিনই ঠাকুরপুকুর থানায় নিখোঁজ-ডায়েরি করেছিলেন। পেশায় আইনজীবী রঞ্জনাদেবী ছেলেকে নিয়ে সরশুনায় বাপের বাড়িতে থাকেন।
পুলিশ জানায়, কিংশুক তাঁর মোবাইল ফোন বাড়িতেই রেখে গিয়েছেন। শনিবার রঞ্জনাদেবী জানান, তাঁর ছেলে পুরুলিয়ার সৈনিক স্কুল থেকে ২০১২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার লক্ষ্য থাকায় তিনি কলেজে ভর্তি হননি।
কিংশুক এ বছর ডাক্তারি পড়ার সুযোগও পান বলে দাবি তাঁর মায়ের। রঞ্জনাদেবী জানান, গত ৩১ জুলাই তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে ডাক্তারিতে ভর্তির বিষয়ে খোঁজ নেন। তাঁর দাবি, শিক্ষকেরা তাঁকে বলেন, ছেলের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় পাশ করার প্রমাণপত্র ও অন্যান্য শংসাপত্র নিয়ে দেখা করতে।
রঞ্জনাদেবী তাঁর ছেলেকে ফোন করে মেডিক্যাল কলেজে আসতে বলেন। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, কিংশুক মেডিক্যাল কলেজে যাননি। রঞ্জনাদেবী বাড়ি ফিরে পড়শিদের কাছে জানতে পারেন, আড়াইটে নাগাদ তাঁর ছেলে স্নান-খাওয়া সেরে বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন। দেখা যায়, তিনি সঙ্গে নিয়েছেন মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের শংসাপত্র ও অন্য নথি। ছেলে না ফেরায় তাঁরা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খবর নেন। শেষে থানায় ডায়েরি। পুলিশের অনুমান, ছেলের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে রঞ্জনাদেবী যা বলছেন, তাতে কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। কিংশুকের খোঁজে কলকাতা-সহ লাগোয়া জেলায় তল্লাশি শুরু হয়েছে। তাঁর ফোনের কল-লিস্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাঁদের সঙ্গে সম্প্রতি কিংশুক কথা বলেছেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। |