রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার ও ক্রিক রো-এর সংযোগস্থলে জীর্ণ, বিপজ্জনক একটি বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের ডিজি (২) দেবাশিস চক্রবর্তী শনিবার জানান, ভারী বৃষ্টির জেরে বৃহস্পতিবার রাতে ১১ নম্বর রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারের বাড়িটির একাংশ ধসে পড়ে। তার পরই বিপজ্জনক অংশ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়। শুক্রবার ভাঙার কাজ শুরু করেছেন পুরসভার ঠিকাদার।
পুর সূত্রের খবর, দীর্ঘ দিন ধরে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে বাড়িটি। পাশেই ক্রিক রো দিয়ে সব সময়ে গাড়ি চলাচল করে। এ নিয়ে পুরসভাতেও অভিযোগ জানান হয়েছে। দেবাশিসবাবু বলেন, “বাড়িটির মালিকানা একাধিক ব্যক্তির হাতে রয়েছে। অনেক আগেই ওই বাড়িতে পুর-আইনের ৪১১ নম্বর ধারায় ‘বিপজ্জনক বাড়ি’ বলে নোটিস টাঙানো হয়েছে। মালিককে সতর্ক করেও কাজ হয়নি।” |
তিনি জানান, বছরখানেক আগে বাড়িটির একাংশ ঝড়ে ভেঙে পড়ায় পুরসভা ওই বিপজ্জনক অংশ ভেঙে দেয়। বৃহস্পতিবার ফের বাড়ির অন্য এক অংশ ভেঙে পড়ে। পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের এক পদস্থ অফিসার বলেন, “পুরো বাড়ি ভাঙতে অনেক খরচ। সেই দায় পুর-প্রশাসন নিতে চায় না। তাই মালিককেই ভাঙতে বলা হয়েছিল। তাঁরা পুর-নির্দেশ অগ্রাহ্য করেছেন।” পুর-সূত্রের খবর, এক্সপ্রেস নোটিস জারি করে বাড়িটি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। নোটিস অনুযায়ী মালিকের অনুমতির অপেক্ষা না করেই জীর্ণ বাড়ি ভাঙতে পারে পুরসভা। পরে তার খরচ আদায় করা হয় মালিকের থেকে।
কলকাতা পুলিশের ডিসি (ট্রাফিক) দিলীপ আদক বলেন, “ভাঙার কাজ চলায় ক্রিক রো দিয়ে যান চলাচল সাময়িক ভাবে বন্ধ আছে।”
|
গাঁজা-সহ গ্রেফতার করা হল এক দুষ্কৃতীকে। শুক্রবার রাতে দত্তাবাদ থেকে তাকে ধরে বিধাননগর থানার পুলিশ। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম সুরেশ মজুমদার (৩২)। তার কাছ থেকে পাঁচ কেজিরও বেশি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। তবে স্রেফ গাঁজা পাচার নয়, সুরেশ একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনাতেও জড়িত রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। সম্প্রতি সল্টলেকে এক মহিলার কাছ থেকে গয়না ছিনতাইয়ের চেষ্টা হয়। সুরেশ ওই ঘটনাতেও জড়িত বলে জেনেছে পুলিশ। |