এর আগেও জেলে ক্ষমতা দখলের লড়াই দেখেছে বলিভিয়া। কিন্তু শনিবার যা ঘটল তা নজিরবিহীন। এ দিন বলিভিয়ার পালমাসোলা জেলে সংঘর্ষে নিহত হলেন অন্তত ৩০ জন। তাদের মধ্যে রয়েছে ১৮ মাসের একটি শিশুও। আহত আরও ৬০ জন। |
বলিভিয়ার অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী কার্লোস রোমেরো জানান, দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল ওই জেলের দু’টি ব্লকের বন্দিদের মধ্যে। একটি ব্লকের বন্দিরা পরিকল্পিত ভাবেই হামলা চালায় প্রতিদ্বন্দ্বীদের উপর। এর জন্য তারা মজুত করেছিল ছুরি, চপার এবং প্রোপেন গ্যাসের ছোট ছোট সিলিন্ডার। দু’টি ব্লকের মাঝের দেওয়ালে গর্ত করে সেখান দিয়ে ওই প্রোপেন গ্যাস ঢুকিয়ে দেওয়া হয় অন্য ব্লকের সেলে। তার পর ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। মুহূর্তের মধ্যে বন্দিদের বিছানায় আগুন ধরে যায়। ছড়িয়ে পড়ে অন্য সেলেও। বলিভিয়ার এই জেলের বিশেষত্ব হল, এখানে বাড়ির লোকের সঙ্গে থাকার অনুমতি দেওয়া হয় ছ’বছর পর্যন্ত বয়সের শিশুদের। এই অগ্নিকাণ্ডের সময়ে জেলে উপস্থিত ছিল বেশ কিছু শিশুও। আগুন ছড়িয়ে পড়লে বারো শিশুকে বের করে আনা হলেও বাঁচানো যায়নি ১৮ মাসের এক শিশুকে। মৃত বন্দিদের দেহ উদ্ধার হলে দেখা যায় অধিকাংশই মারা গিয়েছেন আগুনে পুড়ে। আহতদের মধ্যেও অধিকাংশই পুড়ে গিয়েছেন। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বলিভিয়ার মানবাধিকার সংগঠন প্রশ্ন তুলেছে জেলবন্দিদের হাতে এমন সব অস্ত্র এল কোথা থেকে? যার কোনও উত্তর মেলেনি এখনও। কর্তৃপক্ষ অবশ্য গোটা ঘটনা তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। |