টুকরো খবর
চার মাস বেতন মেলেনি, ক্ষুব্ধ সহায়িকারা
চার মাস ধরে বেতন না পাওয়ার ফলে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের সহায়িকাদের মধ্যে। ইতিমধ্যে বকেয়া বেতন চেয়ে পুর-কর্তৃপক্ষের কাছে দরবার করেছেন সহায়িকারা। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত সুরাহা হয়নি। এই পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকারকে দুষছে বিরোধী দলগুলো। প্রাক্তন পুরপ্রধান নাজিম আহমেদ বলেন, “সরকারই বেতন দিতে গড়িমসি করছে। মাস শেষে বেতন মেলার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না।” পুরসভার এক আধিকারিক অবশ্য বলেন, “বকেয়া বেতন দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।” মেদিনীপুর শহরে ১৫টি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের প্রতিটিতে ৪ জন করে সহায়িকা রয়েছেন। অর্থাৎ, শহরে মোট ৬০ জন সহায়িকার চার মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। সহায়িকারা চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত বেতন পেয়েছেন। তারপর আর পাননি। এক-একজন সহায়িকা মাস পিছু ৫ হাজার ৪০০ টাকা করে পান। সম্প্রতি এপ্রিল-মে, এই দু’মাসের বেতন বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু, এ ক্ষেত্রে এক অন্য সমস্যা দেখা দিয়েছে। শহরে যেখানে ১৫টি শিশু শিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে, সেখানে ১৪টি কেন্দ্রের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। অর্থাৎ, ৫৬ জন সহায়িকার বেতন এসেছে। পাশাপাশি, রাজ্য সরকার এ-ও জানিয়েছে যে, চুক্তির পুনর্নবীকরণ না-হওয়া পর্যন্ত সহায়িকাদের বেতন দেওয়া যাবে না। পুর-কর্তৃপক্ষ অবশ্য পুনর্নবীকরণের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আগেই রাজ্যে পাঠিয়েছেন। পুরসভার এক আধিকারিকের কথায়, “শহরে ১৫টি শিশু শিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। অথচ, ১৪টির জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। এমন ভুল আগেও হয়েছিল। ফের হল।” তাঁর কথায়, “আমরা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সহায়িকারা যাতে দ্রুত বেতন পেতে পারেন, তার চেষ্টা চলছে।”

বধূকে মারধর, গ্রেফতার স্বামী
বধূ নির্যাতনের অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম দেবব্রত চট্টোপাধ্যায়। বাড়ি মেদিনীপুর শহরের রাঙামাটিতে। মেদিনীপুর কোতয়ালি থানায় স্ত্রী নন্দিনী চট্টোপাধ্যায়ের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার তাঁকে ধরা হয়। শুক্রবার মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে ধৃতের ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়। ধৃতের দু’টি লজ রয়েছে। একটি মেদিনীপুরে। অন্যটি খড়্গপুরে। নন্দিনীদেবীর বক্তব্য, “আমার বিয়ে হয় ’৯০ সালে। ২০০৭ সাল পর্যন্ত সংসারে কোনও অশান্তি ছিল না। তারপর থেকে অশান্তি শুরু হয়। স্বামী আমার উপর অত্যাচার শুরু করে।” কেন? নন্দিনীদেবীর কথায়, “জানতে পারি, ওই দু’টি লজে আমার স্বামী প্রায় দিন মধুচক্রের আসর বসান। তার প্রতিবাদ করায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয়।”

বিদ্যুৎ-কর্তাকে চড়, ধৃত পুলিশকর্মী
বিদ্যুৎ দফতরের এক আধিকারিককে চড় মারার অভিযোগে কলকাতা পুলিশের এক কনস্টেবলকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম রাজেশ কর্মকার। বাড়ি খড়্গপুরের কৌশল্যায়। খড়্গপুরের ইন্দায় বিদ্যুৎ দফতরের অফিস রয়েছে। বৃহস্পতিবার ওই অফিসে একটি কাজ নিয়ে এসেছিলেন রাজেশ। পরে অনিরুদ্ধ মণ্ডল নামে এক আধিকারিকের সঙ্গে তিনি তর্কে জড়িয়ে পড়েন। ওই আধিকারিককে চড়ও মারেন। পরে ওই আধিকারিক খড়্গপুর টাউন থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলকাতা পুলিশের ওই কনস্টেবলকে ধরা হয়। শুক্রবার মেদিনীপুর সিজেএম আদালত থেকে জামিন পান ধৃত যুবক।

সচেতনতা শিবির
ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির উদ্যোগে শুক্রবার মেদিনীপুরের নারায়ণ বিদ্যাভবন বালিকা বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের সামনে আইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে এক আইনি সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত হল। উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুর আদালতের বিচারক অজয়েন্দু ভট্টাচার্য, সুজিতকুমার ঝাঁ এবং তনিমা দাস।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.