টুকরো খবর
খন্যানে ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনায় ধৃত আরও দুই
দু’দিনের মধ্যে হুগলির খন্যানে ব্যাঙ্ক-ডাকাতির ঘটনায় আরও দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের পিঁফা গ্রামে হানা দিয়ে পুলিশ আব্দুল রহমান মোল্লা ওরফে বাপ্পা এবং তাপস বিশ্বাস নামে ওই দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, আব্দুল সন্দেশখালির বাসিন্দা। ডাকাতির পরে সে পিঁফা গ্রামে তাপসের বাড়িতে লুকিয়ে ছিল। এই নিয়ে মঙ্গলবারের ওই ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলল পুলিশ। সে দিনই নাসির আলম নামে এক গাড়ি-চালকের তত্‌পরতায় পোলবার সংগ্রামপুরের কাছে ধরা পড়ে তিন দুষ্কৃতী। তাদের মধ্যে এক জন সন্দেশখালির, অন্য জন দেগঙ্গার বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ এবং ব্যাঙ্ক থেকে লুঠ করা ২৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু আব্দুল, তাপস ও তাদের এক সঙ্গী সেই সময়ে পালিয়ে যায়। প্রথম দফায় ধৃত তিন জনকে জেরার পরে বৃহস্পতিবার পাণ্ডুয়া থানার ওসি-র নেতৃত্বে ছ’জনের একটি দল বসিরহাটে যায়। বসিরহাট থানার সহযোগিতায় দুই দুষ্কৃতীকে ধরা হয়। ধৃতদের শুক্রবার চুঁচুড়া আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক ধৃতদের চার দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে, ব্যাঙ্ক থেকে লুঠ করা বাকি ছ’লক্ষ টাকা পুলিশ এখনও উদ্ধার করতে পারেনি। গ্রেফতার করা যায়নি আর এক দুষ্কৃতীকে। হুগলির পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, “আশা করছি ধৃতদের জেরা করে বাকি টাকার হদিশ মিলবে। আর এক দুষ্কৃতীকেও শীঘ্রই গ্রেফতার করা যাবে।”

যুগলের দেহ উদ্ধার
রেললাইনের ধার থেকে তরুণ-তরুণীর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতেরা হল কুন্তল মণ্ডল(১৭) এবং ঋতুপর্ণা ঘোষ(১৬)। তাদের বাড়ি বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থানা এলাকায়। তারা বীরভূমের কোটাসুর হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রী ছিল। রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ হাওড়া-বর্ধমান মেন শাখার শেওড়াফুলি এবং বৈদ্যবাটি স্টেশনের কাছে দেহ দু’টি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। মৃতদেহের পাশ থেকে স্কুলের ব্যাগ উদ্ধার হয়। তাদের কাছ থেকে পাওয়া মোবাইল থেকে ফোন করে রেলপুলিশ বাড়ির লোকেদের খবর দেয়। দুই পরিবারের লোকেরা থানায় এসে মৃতদেহ সনাক্ত করেন। ময়না তদন্তের পর দেহ নিয়ে বাড়ি ফিরে যান আত্মীয়েরা। কোনও পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেনি। দুই পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্য দিনের মতো বৃহস্পতিবারও স্কুলে যাচ্ছি বলে তারা বাড়ি থেকে বের হয়। ঋতুপর্ণার বাবা স্কুল শিক্ষক ও মা স্বাস্থ্যকর্মী। ময়ূরেশ্বরের বটনগর গ্রামে তাঁদের বাড়ি হলেও কর্মসূত্রে কোটাসুরে থাকতেন। কোটাসুরের মহালাজ এলাকার বাসিন্দা কুন্তলের বাবা যাচ্ছি বলে সাঁইথিয়ায় একটি দোকানে খাতা লেখার কাজ করেন। মেয়েটির সম্পর্কিত কাকা হেমন্ত ঘোষ ও ছেলের কাকা অনুতোষ মণ্ডল বলেন, “ওরা খুব ভাল বন্ধু ছিল। কিন্তু এমনটা হবে ভাবতে পারিনি।”

ঘুষ নিয়ে গ্রেফতার
এক ব্যবসায়ীর থেকে দশ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার সময়ে হাওড়ার বাণিজ্য-কর দফতরের এক পদস্থ কর্তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করল রাজ্য ভিজিল্যান্স কমিশনের দুর্নীতি দমন শাখা। ধৃত জাভেদ সিদ্দিকি হাওড়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত বাণিজ্য-কর দফতরের যুগ্ম কমিশনার। পুলিশ জানায়, এক ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে জাভেদকে শুক্রবার হাওড়ার বিক্রয়কর অফিস থেকে গ্রেফতার করে ভিজিল্যান্স কমিশনের এডিজি রাকেশ গুপ্তর নেতৃত্বে একটি দল। পুলিশ জানায়, জাভেদের বিরুদ্ধে আগেই নানা দুর্নীতির অভিযোগ ছিল।

বিদ্যুত্‌স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু
বিদ্যুত্‌স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খানাকুলের পাতুল গ্রামের ধাড়াপাড়ায় ওই দুর্ঘটনায় মৃতের নাম প্রতিমা সিংহ (৩৫)। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলা ঘরে বিদ্যুত্‌ সংযোগ করতে গেলে তারের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়ে বিদ্যুত্‌স্পৃষ্ট হন। তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

দেহ উদ্ধার
এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হল আরামবাগের রামনগর গ্রাম সংলগ্ন পিরতলা এলাকায় দ্বারকেশ্বর নদী থেকে। শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় লোকজনই দেহটি নদী থেকে তুলে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সুব্রত সিকদার (২৬)। বাড়ি বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার বেতানল গ্রামে। তিনি বৃহস্পতিবার নদীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যান বলে বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন। দেহটি আরামবাগ হাসপাতালে ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.