ছাত্রছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ মিড-ডে মিলের চাল, ডাল, ডিম বাড়ি নিয়ে যান শিক্ষিকারা। এই অভিযোগ তুলে শুক্রবার সকালে দীর্ঘক্ষণ প্রধান শিক্ষিকাকে ঘেরাও করে রাখেন স্থানীয় লোকজন। দেড়িয়াপুর পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর-কুলতোড় আদিবাসী পাড়া শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের ঘটনা। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অবশ্য মেনে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা শ্যামাদাসি আচার্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে মিড-ডে মিল নিয়ে শিক্ষাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এ দিন তার বহিঃপ্রকাশ ঘটল। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা আফরোজা বিবির উপস্থিতিতে স্থানীয় লোকজন এ দিন সকাল থেকে প্রধান শিক্ষিকাকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখেন। তাঁদের দাবি, শিক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত ছিল ২৮ জন ছাত্রছাত্রী। কিন্তু বোর্ডে লেখা রয়েছে ৬৩ জন ছাত্রছাত্রী উপস্থিত। স্থানীয় বাসিন্দা আরাবুল হক, আফরোজা বিবির অভিযোগ, “উনি ভুল স্বীকার করে নেওয়ায় গ্রামবাসীরা তাঁকে ছেড়ে দেন। কিন্তু স্কুল ছুটির পরে কয়েক জন পড়ুয়া জানায়, দিদিমণি ব্যাগে করে সিদ্ধ ডিম নিয়ে যাচ্ছেন। এই খবর শুনে তাঁকে ফের ধরা হয়। ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে ১৩টি ডিম, একটি টিফিন কৌটোর মধ্যে চাল পাওয়া যায়। তখন তাঁকে ফের ঘেরাও করে রাখা হয়।” তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ লিখিত ভাবে স্বীকার করে নেন প্রধান শিক্ষিকা। এর পরে দুপুর ২টো নাগাদ ঘেরাও তুলে নেন বাসিন্দারা।
ডিম ও চাল নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা শ্যামাদাসিদেবী। তবে তিনি দাবি করেছেন, “এ দিন পড়ুয়াদের উপস্থিতির সংখ্যা ১৮ নয়, সংখ্যায় বেশি ছিল। কিন্তু খাতায় সকলের উপস্থিতি লেখা হয়নি। আমাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে, তা বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম।” এ ভাবে কেন মিড-ডে মিলের জন্য বরাদ্দ ডিম ও চাল নিয়ে যাচ্ছিলেন, তার স্পষ্ট উত্তর মেলেনি প্রধান শিক্ষিকার কাছ থেকে। সাঁইথিয়ার বিডিও জাহিদ সাহুদ বলেন, “শুক্রবার কোনও লিখিত অভিযোগ করেননি। করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |