কোনও বেসরকারি সংস্থা রাজ্য সরকারের সঙ্গে যৌথ অংশীদারিতে (পিপিপি মডেল) মেডিক্যাল কলেজ খুলতে চাইলে ওই কলেজের মোট আসনের ন্যূনতম এক-তৃতীয়াংশ সরকারের জন্য সংরক্ষিত রাখতে হবে। অর্থাৎ ওই সব আসনে সরকার পরিচালিত মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করা মেধা-তালিকাভুক্ত ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হবেন। যে-সংস্থা সব চেয়ে বেশি আসন সরকারের জন্য সংরক্ষিত রাখবে, যৌথ ভাবে মেডিক্যাল কলেজ গড়ার জন্য দরপত্রের মাধ্যমে তাদেরই নির্বাচন করা হবে। ১৬ অগস্ট রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের এক নির্দেশিকায় এ কথা জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য (শিক্ষা) অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রথম দফায় ভাঙড় ও ধুবুলিয়ায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিতে মেডিক্যাল কলেজ গড়ার পরিকল্পনা আছে। তার পরে কোচবিহার, রামপুরহাট ও পুরুলিয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যেখানে মেডিক্যাল কলেজ গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সেখানে বা তার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে সরকারি হাসপাতাল থাকলে বেসরকারি সংস্থা প্রাথমিক ভাবে সেই প্রতিষ্ঠানকে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাদানের কাজে ব্যবহার করতে পারবে। মেডিক্যাল কলেজের জন্য সরকার ৯৯ বছরের লিজে জমি দেবে। বেসরকারি সংস্থাকে ওই জমির বাজারদরের ৪০% সেলামি হিসেবে সরকারকে দিতে হবে এবং জমির বাজারদরের ০.৩% দিতে হবে বার্ষিক ভাড়া হিসেবে। যদি নতুন মেডিক্যালে স্নাতক স্তরের পঠনপাঠন দু’বছরের মধ্যে শুরু করা যায়, সেলামি ও ভাড়ায় ছাড় মিলবে। জমিতে যদি আগে থেকে সরকারি হাসপাতাল না-থাকে এবং পুরোটাই বেসরকারি সংস্থাকে তৈরি করতে হয়, সে-ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের মধ্যে পঠনপাঠন শুরু করতে পারলে পুরো ছাড় মিলবে। |