তৃণমূল এবং কংগ্রেস মিলে শিলিগুড়ি শহরের উন্নয়ন স্তব্ধ করে দিয়েছে অভিযোগ তুলে পুরসভায় অভিযানের ডাক দিল বামফ্রন্ট। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর তারা মিছিল করে পুরসভায় গিয়ে বিক্ষোভ অবস্থান করবেন। মঙ্গলবার দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে তা জানান জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক তথা প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য এবং সিপিএমের কার্যকরি জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার। তাঁদের দাবি, জোট বেঁধে নির্বাচনে জিতেও পুরসভার চালাতে পারছেন না কংগ্রেস, তৃণমূল। তারা না পারলে বোর্ড ভেঙে নতুন নির্বাচন করক। তা না করে শহরের উন্নয়ন বন্ধ করে দিয়েছে তারা। ক্ষমতা নিয়ে দুই পক্ষের রেষারেষিতে পুর পরিষেবা শিকেয় উঠেছে। জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকাকে খর্ব করে পুরসভার প্রশাসক বসানোর চেষ্টা হচ্ছে।
বর্তমানে কংগ্রেসের ক্ষমতায় থাকা শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “কী কারণে কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা সকলেই জানেন। আমরা তার মধ্যে সমস্যা মেটাতে চেষ্টা করছি। বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ যাতে সঠিক ভাবে করা সম্ভব হয় সে জন্য আমরা সব সমতেই সচেষ্ট।” বামেদের পাশাপাশি তৃণমূলের তরফেও পুরসভার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার হুমকি দেওয়া হয়েছে। সিপিএমের অভিযোগ অবশ্য আমল দিতে চাননি তৃণমূল নেতৃত্ব। শিলিগুড়ি পুরসভার কাউন্সিলর তথা তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা কোর কমিটির অন্যতম সদস্য কৃষ্ণ পাল বলেন, “সিপিএমের নাটক আমরা বারবার দেখেছি। শুরুতে তাদের সমর্থন নিয়ে কংগ্রেস মেয়র পদ নেয়। এখন আবার তারা কংগ্রেসকে অক্সিজেন যোগাচ্ছে। বাসিন্দাদের সমস্যা নিয়ে আমরা শীঘ্রই আন্দোলন করব।”
চেয়ারম্যান নান্টু পাল কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলে আলাদাভাবে সরব হয় কংগ্রেস এবং বামেরা। নান্টু পাল চেয়ারম্যান পদে থাকলে বোর্ড মিটিং-এ যোগ না দেওয়ার কথা জানায়। কংগ্রেসের কাউন্সিরদের একাংশ একই পথে হাঁটছেন। গত ৯ মাস ধরে কার্যত পুরসভায় বোর্ড মিটিং বন্ধ রয়েছে। বাজেট পাস নিয়ে বিতর্কের জেরেও আর্থিক প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। প্রাক্তন পুরমন্ত্রীর অভিযোগ, “দলত্যাগ করা নিয়ে যে অনৈতিক কাজ হচ্ছে সে ব্যাপারে রাজ্য সরকার নেতিবাচক ভূমিকা নিয়েছে। এ ব্যাপারে যে মামলা চলছে তার রায় দ্রুত হওয়া উচিত। আমরা আদালতের কাছে সেই আবেদন করছি। বাসিন্দাদের সমস্যা নিয়ে আমরা আন্দোলনে নামছি।” |