|
|
|
|
টুকরো খবর |
নিখোঁজ মেয়েদের উদ্ধারে তিন মাস সময় দিল কোর্ট
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
চার বছর ধরে মেয়ের অপেক্ষায় সন্দেশখালির হরেন মণ্ডল। ২০০৯ সালে নিখোঁজ হয়েছে ১২ বছরের মেয়ে বৈশাখী। পুলিশে অভিযোগ করেন হরেনবাবু। সুরাহা না-হওয়ায় মেয়েকে খোঁজার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন অসহায় বাবা। তার পরিপ্রেক্ষিতেই হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার নির্দেশ দিয়েছেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে সম্প্রতি নিখোঁজ হয়ে যাওয়া সব মেয়েকে তিন মাসের মধ্যে উদ্ধার করতে হবে। এর জন্য ডিআইজি (সিআইডি)-কে স্পেশ্যাল টিম তৈরি করতে বলেছেন তিনি। রাজ্যের বিভিন্ন থানায় নথিভুক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে দেখা গিয়েছে, প্রতি বছর পশ্চিমবঙ্গ থেকে কমবেশি ৯০০০ মেয়ে নিখোঁজ হয়। কয়েক জনকে পরে উদ্ধারও করা হয়। কিন্তু উদ্ধারের হার কেমন, সেই পরিসংখ্যান সিআইডি-র কাছে নেই। অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও উদ্ধারের কাজ করে। অনেকে আবার নিজেরাই ফিরে আসে। হাইকোর্ট বারবার বলার পরে পাচার হওয়া মেয়েদের উদ্ধারে একটি বিশেষ সেল তৈরি করা হয়। প্রথম দিকে উল্লেখযোগ্য কাজও করলেও ইদানীং তাদের সক্রিয়তা কমেছে বলে অভিযোগ। এ দিন হরেনবাবুর আইনজীবী স্বাগত দত্ত জানান, বৈশাখীকে খোঁজার প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি হয়নি। রোজই এ ভাবে মেয়ে নিখোঁজ হচ্ছে অথচ পুলিশ নিষ্ক্রিয়। তার পরে বিচারপতি এই নির্দেশ দেন।
|
ফের মূল্যায়নে ব্যাপক নম্বর বদল মাধ্যমিকে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এ বারের মাধ্যমিক পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নে ৩১% আবেদনকারীর নম্বর বেড়েছে। স্ক্রুটিনিতে নম্বর বেড়েছে ২১% আবেদনকারীর। মঙ্গলবার পুনর্মূল্যায়ন ও স্ক্রুটিনির ফল বেরিয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রশাসক কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানান, পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবেদন জানিয়েছিল ৪৭৭৬ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে নম্বর বেড়েছে ১৪৯০ জনের। স্ক্রুটিনির জন্য আবেদন জানিয়েছিল ৩২ হাজার ৭০৩ জন। তাদের মধ্যে ৬৯৮৪ জনের নম্বর বেড়েছে। পুনর্মূল্যায়ন ও স্ক্রুটিনিতে এত ছাত্রছাত্রীর নম্বর বদলাল কেন? পর্ষদ-কর্তৃপক্ষের দাবি, মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল ১০ লক্ষেরও বেশি ছাত্রছাত্রী। পুনর্মূল্যায়ন ও স্ক্রুটিনির জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা সেই তুলনায় অনেক কম। আর প্রশাসক বলেন, “কাজ করতে গেলে ভুলচুক হবেই। তা শোধরানোর জন্যই পুনর্মূল্যায়ন ও স্ক্রুটিনির বন্দোবস্ত।” তবে পর্ষদের প্রশাসকের দাবি, ফি-বছরই ৩০-৩১ শতাংশ আবেদনকারীর নম্বর বদল হয়। এ বারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কল্যাণবাবু জানান, কাল, বৃহস্পতিবার পর্ষদের বিভিন্ন ক্যাম্প অফিস থেকে বিভিন্ন স্কুলের প্রতিনিধিদের হাতে নতুন মার্কশিট দেওয়া হবে।
|
লগ্নি সংস্থার সর্বনাশে স্বল্প সঞ্চয়ে পৌষমাস |
সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারির জেরে রাজ্যের স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে আমানতের পরিমাণ বেড়েছে। মঙ্গলবার মহাকরণে স্বল্প সঞ্চয় শাখার রাজ্য ও জেলা স্তরের আধিকারিকদের বৈঠকে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের এজেন্ট বাড়ানোর চিন্তাভাবনা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। এ দিন বৈঠকের পরে রাজ্যের স্বল্প সঞ্চয় অধিকর্তা মোবাশ্বের আলি বৈদ্য জানান, গত আর্থিক বছরের প্রথম চার মাসে আমানতকারীরা বিভিন্ন স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে যত টাকা জমা রেখেছিলেন, তার চেয়ে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা বেশি তুলে নিয়েছিলেন। এ বারের ছবিটা উল্টো। গত এপ্রিল-জুলাইয়ের মধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পে নিট জমা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এই চার মাসে যে-টাকা তোলা হয়েছে, তার চেয়ে ৫০০ কোটি টাকা বেশি জমা পড়েছে। কর্তাদের ব্যাখ্যা, “বেশি সুদের আশায় স্বল্প সঞ্চয় থেকে টাকা তুলে বেসরকারি অর্থ লগ্নি সংস্থায় টাকা রাখার প্রবণতা লক্ষণীয় ভাবে কমেছে। স্বল্প সঞ্চয়ে বেশি করে টাকা রাখছেন মানুষ।” এ দিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, রাজ্যের বিপুল সংখ্যক আমানতকারীর কাছে পৌঁছতে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর থেকেই স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের এজেন্ট রাখা দরকার। তবে বাড়তি এজেন্ট নিয়োগ করার মতো পরিকাঠামো আছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
পুরনো খবর: সুদ কম, প্রচারেও খামতি স্বল্প সঞ্চয়ে, পুঁজি লুটছে ভুঁইফোঁড়রা |
|
|
|
|
|