|
|
|
|
নদীতে জল বাড়ছে, কোমর বাঁধছে রাজ্য
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য সব রকম প্রস্তুতি রয়েছে বলে দাবি রাজ্য সরকারের। সেচ, ত্রাণ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সমন্বয়ে রাজ্যস্তরের কমিটিও গড়া হয়েছে।
সেচ দফতর জানাচ্ছে, উত্তরবঙ্গের জন্য সিকিম ও ভুটানের সঙ্গে এবং দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির জন্য ওড়িশা, বিহার ও ঝাড়খণ্ড সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গে এবং দক্ষিণবঙ্গে দু’টি পৃথক টাস্ক ফোর্স গড়া হয়েছে। কোথাও নদীবাঁধ ভাঙনের খবর পাওয়া গেলে দ্রুত তা মেরামত করা হবে।
মঙ্গলবার সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা নদীবাঁধ মেরামতির কাজ সেরে রেখেছি বর্ষার আগেই। তবুও অতিবৃষ্টি বা জল ছাড়ার কারণে যদি ছোটখাটো মেরামতির প্রয়োজন হয়, তার জন্য টাস্ক ফোর্স গড়া হয়েছে।” ডিভিসি যাতে জল ছাড়ার আগে রাজ্যকে খবর দেয়, সে বিষয়ে সমন্বয়ের জন্যও ডিভিসি, কেন্দ্রীয় জল কমিশন এবং সেচ দফতরকে নিয়ে কমিটি গড়া হয়েছে। |

মুকুটমণিপুরে কংসাবতী জলাধার থেকে জল ছাড়া হচ্ছে।—নিজস্ব চিত্র। |
ইতিমধ্যে গঙ্গার জল বাড়ায় মালদহের মানিকচক ব্লকে নতুন করে ২০টি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। জল বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫.৫০ মিটারে, চরম বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। জারি হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা। জেলা সেচ দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার (গঙ্গা) অমরেশ কুমার সিংহের মতে, আরও কয়েক দিন চলতে পারে। সেপ্টেম্বরে ফের তৃতীয় দফায় গঙ্গার জল বাড়বে। তবে ভুতনির হিরানন্দপুরে কালুটোনটোলার বাঁধের কোনও ক্ষতি হবে না বলেই তাঁদের আশা। বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ বিলি নিয়ে দলবাজির অভিযোগ তুলে সিপিএমের জেলা পরিষদ সদস্য মোজাফফর হোসেন বলেন, “বাঁধের বাইরে জলমগ্ন গ্রামে ত্রাণ না পাঠিয়ে বাঁধের ভিতরে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হননি, তাঁদের মধ্যে ত্রাণ বিলি হচ্ছে।” স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র অবশ্য দাবি করেন, “শুরুতে সমস্যা থাকলেও এখন নেই।”
টানা বৃষ্টিতে টইটুম্বুর বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে ১০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া শুরু করেছে সেচ দফতর। কংসাবতী সেচ দফতরের সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার (১) বিশ্বনাথ কুমার বলেন, নদীতীরের বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে। বারিকুলে ভৈরববাঁকি নদীর জল কজওয়ের উপর দিয়ে বওয়ায় সোমবার রাত থেকে বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কে যান চলাচল বন্ধ। কেচোন্দাঘাটের কজওয়ে ডুবে যাওয়ায় বন্ধ খাতড়া-আকখুটা রাস্তাও। আরও বহু রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। |
|
|
 |
|
|