ভোট মিটতেই স্থানীয় সমীকরণকে মাথায় রেখে জোট করছে রাজনৈতিক দলগুলি।
পঞ্চায়েতের দখল নিতে রানাঘাট ১ নম্বর ব্লকের কালীনারায়ণপুর-পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতে জোট বাধল কংগ্রেস এবং তৃণমূল। পঞ্চায়েতের ২৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ১০টি, কংগ্রেস ৫টি এবং সিপিএম পেয়েছিল ৯টি আসন। বোর্ড গঠন করতে তৃণমূলের সঙ্গে যোগ দেয় কংগ্রেস। হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ৭টি, কংগ্রেস ৪টি এবং সিপিএম ৫টি আসন পেয়েছিল। বোর্ড গড়তে এখানে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে সিপিএম। চাকদহ ব্লকের সরাটি গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিএমের সঙ্গে জোট করেছে পিডিএস সমর্থিত নির্দল। রানাঘাট-২ নম্বর ব্লকের কামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল, বিজেপি এবং নির্দল জোট করে বোর্ড গঠন করেছে। এখানকার ২৯টি আসনের মধ্যে সিপিএম ১৪টি, তৃণমূল ১৩টি, বিজেপি ও নির্দল একটি করে আসন পেয়েছিল। হরিণঘাটা ব্লকের বিরোহী ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিএম ও তৃণমূল জোট করেছে।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুমিত দে বলেন, “বিরোহীর ওই পঞ্চায়েত আসনটি সংখ্যালঘু মহিলার জন্য সংরক্ষিত। আমরা বেশি আসন পেলেও আমাদের সংখ্যালঘু মহিলা প্রতিনিধি জিততে পারেননি। তাই বাধ্য হয়ে তৃণমূলের ওই প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়েছি।” সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “যদি কোথাও রাজনৈতিক সুবিধার জন্য সমর্থন করতে দেখা যায়, সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান নরেশচন্দ্র চাকী বলেন, “কোথাও কোথাও এমন জোট হয়েছে শুনেছি। কিন্তু যদি দেখা যায় এমন কাজ করা হয়েছে যাতে দলের ক্ষতি হয় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” প্রদেশ কংগ্রেস সদস্য দুলাল পাত্র বলেন, “দল বিরোধী কিছু করা হলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।” |