নিকাশি নালা বন্ধ করে বন্ধ করে গড়ে উঠেছে অবৈধ নির্মাণ। ফলে নালার মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জল নিকাশি হচ্ছে না। ফলে টানা বৃষ্টির জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে অধিকাংশ ওয়ার্ডে বৃষ্টির জলে বানভাসি অবস্থা হয়েছে। চাষের জমি, মাছের পুকুর ভেসে গিয়েছে। অতিরিক্ত জল ঢুকে পড়েছে ঘরের মধ্যেও। পুর বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভার গাফিলতিতেই আমাদের এমন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। ২ এবং ৩ নং ওয়ার্ডেও নিকাশি ব্যবস্থা একেবারেই নেই। |
ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডে জল নিকাশির ব্যবস্থা বলতে ছিল বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নিকাশি নালার মাধ্যমে খালে বা নদী থেকে জল বের করা। কিন্তু খালের সংযোগ নিকাশি নালার মাধ্যমে জল বের করা। কিন্তু খালের সংযোগ নিকাশি নালাগুলির উপর বেআইনি ঘরবাড়ি দোকান নির্মাণ হওয়ায় নালার মুখ প্রায় বন্ধ। এছাড়া ডায়মন্ড হারবার স্টেশন লাগোয়া খাল দিয়ে জল নিকাশি হত ৫,৬, ৯, ১১, ১২ নম্বর ওয়ার্ডগুলির। ৪, ১৪, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডগুলি থেকেও নিকাশি নালার মাধ্যমে জল খালে চলে যায়। এছাড়াও বৃষ্টির জল ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঢুকে পড়ায় ক্ষতি হচ্ছে মাটির ঘরবাড়ির।
বেহাল নিকাশি সমস্যার বিষয়ে ডায়মন্ড হারবারের সিপিএম জোনাল কমিটির সম্পাদক সমর নাইয়া বলেন, “তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার মদতে নিকাশি নালার উপরে নির্মাণ হচ্ছে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে নিকাশি ব্যবস্থা সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেয়নি। পুরসভা টাকা নিয়ে বেআইনি নির্মাণে মদত দিচ্ছে। তবে ওয়ার্ডে দ্রুত নিকাশির জন্য আমরা মহকুমাশাসকের কাছে আজ মঙ্গলবারই স্মারকলিপি দিয়েছি।”
পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় কাজ চালাচ্ছেন ডায়মন্ড হারবারের মহকুমাশাসক। ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক মৌমিতা সাহা বলেন, “জমা জল নিকাশির ব্যবস্থা করতে স্লুইসগেট খুলে দেওয়া হয়েছে। অস্থায়ী নির্মাণ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি ওয়ার্ডে ত্রিপলও দেওয়া হয়েছে।” ডায়মন্ড হারবার পুরসভার তৃণমূলের বিদায়ী পুরপ্রধান পান্নালাল হালদার বলেন, “সিপিএম মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমরা নিকাশি নালার অনেক সংস্কার করেছি। আরও যা কাজ বাকি আছে তা করা হবে। তবে টানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্যই এত জল জমেছে।” |