বৃষ্টির মধ্যে ট্রেকারে করে বউভাতের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে একটি দুর্ঘটনায় হুগলিতে একই পরিবারের দু’জন এবং তাঁদের এক আত্মীয়ের মৃত্যু হল। জখম হন ১৪ জন। ট্রেকারটি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে। তার পরেই অন্য একটি ট্রাক ট্রেকারটিকে ধাক্কা দেয়। ট্রেকারটি রাস্তা থেকে উল্টে নীচের জমিতে গিয়ে পড়ে।
সোমবার রাত ১১টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে দাদপুরের আমরে মোড়ের কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে। পুলিশ জানায়, মৃতেরা হলেন ভারতী ঘোষ (৬০), তাঁর নাতি তরুণ ঘোষ (৩০) এবং ভারতীদেবীর খুড়তুতো দেওর কানাই ঘোষ (৫০)। সকলেই দাদপুরের বাজিনানের বাসিন্দা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশেরও অনুমান, বৃষ্টির কারণেই ট্রেকার এবং ট্রাকটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন। দুর্ঘটনার পরে অবশ্য চালক ট্রাক নিয়ে পালান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ভারতীদেবীর নাতনির বউভাতের অনুষ্ঠান ছিল সিঙ্গুরের গোপালনগরে। ভারতীদেবীরা ১৭ জন ট্রেকার ভাড়া করে যাচ্ছিলেন। বৃষ্টির জন্য তাঁদের বেরোতে দেরি হয়। বাড়ি থেকে কিছু দূর যাওয়ার পরেই ওই দুর্ঘটনা। স্থানীয় লোকজন এবং পুলিশ এসে আহতদের উদ্ধার করে চুঁচুড়া হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেই ভারতীদেবী, তাঁর নাতি এবং কানাইবাবু মারা যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ট্রেকার-চালককে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়েছে।
দুর্ঘটনায় জখমদের মধ্যে রয়েছেন ভারতীদেবীর নাতবৌ তৃপ্তি ঘোষ। চুঁচুড়া হাসপাতালে চিকিত্সাধীন তৃপ্তিদেবী মঙ্গলবার বলেন, “খুব বৃষ্টি হচ্ছিল বলে ট্রেকারটি মাঝারি গতিতেই যাচ্ছিল। কিন্তু রাস্তার ধারে যে একটি ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল, বোধহয় আমাদের চালক অন্ধকারে তা বুঝতে পারেননি। তবে, ওই ধাক্কা তেমন কিছু হয়নি। কিন্তু তার পরেই পিছন থেকে অন্য ট্রাকের ধাক্কায় আমাদের ট্রেকারটি উল্টে যায়। সেই সময় আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।” |