প্রবন্ধ ১...
রাজধানী হাওড়ায় সবাই স্বাগত
ড় শহরের ছত্রছায়ায় কোনও রকমে প্রাণরক্ষা করে ধীরে ধীরে বড় হয়ে ওঠার গ্লানি যে কতটা, তা ঠিক মতন পরিমাপ করতে হলে গঙ্গার পশ্চিম তীরে হাওড়া শহরে কয়েক বছর জীবনযাপন করা নিতান্তই প্রয়োজন। শিয়ালদহ রেল স্টেশন থেকে মহানগরীর রাজভবন পর্যন্ত পূর্ব-পশ্চিমমুখো যে ধর্মতলা স্ট্রিট জ্যামজমাট হয়ে সারাক্ষণ পড়ে আছে, তার দক্ষিণে যে ভুবনবিদিত জনপদ, তার অধিকাংশ সচ্ছল ও ভাগ্যবান নাগরিক জানেনও না যে একটু দূরেই নদীর অপর পারে হাওড়া বলে একটা সুবিশাল জনপদ আছে, যার ঐতিহ্য কলকাতা থেকে অনেক প্রাচীন কলকাতার যখন ৩০০ বছর হল, তখন হাওড়ার যে ৫০০ বছর সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে, তা কলকাতার কারও খেয়ালেই আসে না।
আমার প্রিয় এক অধ্যাপক দুঃখ করতেন, পদে পদে অপমানিত, অবহেলিত এবং নিরন্তর নিপীড়নের এই হাওড়া এখন আত্মবিস্মৃতির শহর। প্রদীপের তলায় যেমন অন্ধকার, কলকাতার তেমন হাওড়া। কলকাতা পত্তনের পর থেকে এই টুইন সিটির কস্মিনকালেও কোও উন্নতি হয়নি। কলকাতার ধনপতিদের প্রতিষ্ঠিত জুটমিল, স্টিল মিল, ওয়াগন ফ্যাক্টরি, ডক ইয়ার্ডের কালো ধোঁয়া বুক ভরে গ্রহণ করবার জন্যেই তো এই হাওড়া শহর। দীর্ঘজীবী হওয়ার বাসনা নিয়ে কেউ হাওড়ায় ঘরভাড়া নেয় না। সুদূর অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং বাংলার প্রত্যন্ত দেশ থেকে যারা এই কুলিটাউনে কুলিগিরি করতে এসেছিল, তারা মেনে নিয়েছিল ছোট ছোট নদীর মতন খোলা নর্দমা, খাটা পায়খানা এবং বিদ্যুৎবিহীন বস্তি। মুম্বইয়ের ভুবনবিদিত বস্তিগুলিও টিকিয়াপাড়ার কাছে শিশু। মুম্বইয়ের বস্তিতে বসে সারা ভারতের মানুষ ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখে, অনেকে সত্যিই ভাগ্য পাল্টে নিয়ে কোটিপতি হয়। হাওড়ায় ও-সব হয় না, গরিব মানুষ ওখানে ক্রমশ আরও গরিব হয়। হাওড়ার কলকারখানা একের পর এক বন্ধ হলেও কেউ অন্যত্র পালাবার পথ খোঁজে, পায় না। ফলে ওয়াগন ভাঙা, ছিনতাই, খুনোখুনির প্রফেশনেও ‘ওভারক্রাউডিং’। এক-আধ জন রিকশাওয়ালা সৃষ্টিশীল হৃদয়বান ফরাসি লেখকের নজরে পড়ে যায়। কিন্তু কলকাতার নগরপিতারা বুদ্ধিমান, তাঁরা ‘সিটি অব জয়’ খেতাবটি হাওড়ার কাছ থেকে থাপ্পড় মেরে কেড়ে নিয়ে নিজের টুপিতে পালকের মতন লাগিয়ে নিয়ে গর্ব করেন।
নদীর ও পার। কলকাতা (ডান দিকে) ও হাওড়া।
তবে অন্য অনেক স্পেশাল টাইট্ল হাওড়ার জন্যে পড়ে থাকে। পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক কলেরার ধাত্রীগৃহ, কাঁচাকয়লা, ভিজে ঘুঁটে, শস্তার কেরোসিনের ধোঁয়ায় নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার ওয়ার্ল্ড সেন্টার। এক সময় বোধ হয় বহু ধার্মিক দল বেঁধে এখানে বসতি স্থাপন করেছিলেন রামকৃষ্টপুর, শিবপুর, ধর্মতলা, মন্দিরতলা নাম তার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ওখানে তাই অসুস্থ কোনও প্রতিষ্ঠান বা অসুস্থ উদ্যমের মৃত্যু হয় না। উৎপাদন বন্ধ হলেও গলিতদেহ পাঁচিলগুলো পুরনো কোম্পানির সাইনবোর্ড বুকে করে দাঁড়িয়ে থাকে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে শুনেছি, পৃথিবীর লার্জেস্ট ভি আর এস পাওয়া আহত এবং অপমানিত নাগরিক এই হাওড়াতেই বসবাস করেন।
তবু পুরো বিশ শতক ধরে বহু বাঙালি দূর থেকে এসে এই হাওড়ায় বসতি স্থাপন করেছেন। গঙ্গার দু’পারে তখন জায়গার তেমন অভাব ছিল না, তবু দূরদর্শী ও বিচক্ষণ স্বামী বিবেকানন্দ এই জনপদকেই নির্বাচন করেছিলেন তাঁর গুরুর নামাঙ্কিত মঠ ও মিশনের কেন্দ্র হিসেবে এক-আধ দিন নয়, আগামী পনেরো শতাব্দী ধরে ঠাকুর রামকৃষ্ণকে এখানে রাখাই তাঁর পরিকল্পনা। সুদূর বার্মা থেকে নিঃশব্দে হাজির হয়ে খুরুট রোডের এক নিন্দিত পল্লিতে ডেরা বেঁধেছেন শরৎচন্দ্র। এখানে এসেছেন উকিল, ডাক্তার, কেরানি, নট, নাট্যকার ও সংগীতজ্ঞরা। একদিন ভাগ্যের সন্ধানে আমার আইনজ্ঞ পিতৃদেবও পথের পাঁচালীর দেশ বনগ্রাম ত্যাগ করে এখানে হাজির হয়েছেন সপরিবার। এ সব দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের আগেকার কথা। আমার বয়স তখন চার বছর। বিদায়কালে বনগ্রামের বান্ধবীদের আমার মা বলে এসেছেন, আমরা কলকাতায় চলে যাচ্ছি। কলকাতা ও হাওড়া যে এক নয়, তা বুঝতে আমারও সময় লেগে গিয়েছে বেশ কিছু দিন।
তখনও আজকের রবীন্দ্র সেতু তৈরি হয়নি। কলকাতায় যেতে হলে টাইমটেবিল দেখতে হত কখন হাওড়া ব্রিজ খোলা থাকবে। কলকাতায় বিয়েবাড়িতে গেলে গৃহস্বামী বলতেন, হাওড়ার লোকদের আগে বসিয়ে দাও, না হলে ওদের সাঁতরে বাড়ি ফিরতে হবে! সব ব্যাপারেই হীনম্মন্যতা। হাওড়ায় মেয়ের বিয়েও কষ্টসাধ্য, কারণ আদরের জামাইয়ের শ্বশুরবাড়ি যেতে কষ্ট হবে! আর ছিল ট্রাফিক জ্যাম। হাওড়ার গাড়ি মানেই নট নড়নচড়ন। কলকাতায় পৌঁছতে এবং সেখান থেকে ফিরতে প্রতিদিন বাড়তি সময় যে কত লাগত! কলকাতায় আমাদের কলেজবন্ধুরা বলত, ওদের বাইশ ঘণ্টার দিন! অমন যে অমন বিলেতে ডিজাইন-করা ক্যান্টিলিভার ব্রিজ, তা-ও নট নড়নচড়ন বাস, ট্রাম, রিকশা, ঠেলাগাড়ি, ট্রাক, টেম্পোর ভারে সারাক্ষণ আফিমখোর বুড়োর মতোন ঝিমোচ্ছে কত পাপ করেছে আগের জন্মে, তাই এ জন্মে হাওড়া ব্রিজ হয়েছে!
গঙ্গার দু’পারে তখন জায়গার তেমন অভাব ছিল না, তবু স্বামী বিবেকানন্দ এই জনপদকেই নির্বাচন করেছিলেন তাঁর গুরুর নামাঙ্কিত মঠ ও মিশনের কেন্দ্র হিসেবে, আগামী পনেরো শতাব্দী ধরে ঠাকুর রামকৃষ্ণকে এখানে রাখাই তাঁর পরিকল্পনা।
তবু আমাদের ইস্কুলজীবনটা মন্দ ছিল না মহাযুদ্ধের কল্যাণে পঞ্চাননতলা, কদমতলা, শিবপুর, শালকে’তে স্বয়ং মা-লক্ষ্মীও এসে বসবাস করছেন। মাস্টারমশাইরা বলতেন, বেশির ভাগ ছাত্রের মাথা নেই। কিন্তু আশ্চর্য, এক জোড়া হাত রয়েছে, যা ব্যবহার করে স্কুল-পালানো ছোঁড়ারা ছোট ছোট কারখানায় দু’হাত ভরে রোজগার করছে। রেগে গেলে অবশ্য মাস্টারমশাই বলতেন, ইংলিশ-বেঙ্গলি কোনওটাই তোর হবে না, তবে ভাবনা কী? বার্নে, গেস্টকিনে, বামার লরি’তে ঘণ্টা বাজিয়ে লোক নিচ্ছে।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাওড়ায় একটা নিজস্ব সংস্কৃতি প্রকৃতির খেয়ালে গড়ে উঠেছিল। হাওড়ায় বস্তিবেষ্টিত যে কানাগলিতে আমার বসবাস ছিল, সেখানে দারিদ্রের সঙ্গে দুর্লভ মনুষ্যত্ব মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল। অকথ্য গালাগালি, মদ্যপান, জুয়াখেলা, হাতাহাতি সারাক্ষণ আমার চোখে এবং কানে আসত। যাঁরা এ-সবের কেন্দ্রমণি, তাঁরা কিন্তু বলতেন, তুমি হরিবাবুর ছেলে, তোমার এ-সব শুনতে নেই, বাড়ি চলে যাও। তথাকথিত ছোটলোকদের ভদ্রতা ছিল তুলনাহীন।
এক দিকে ছুতোর বস্তি, এক দিকে ওড়িয়া বস্তি, এক দিকে হিন্দুস্থানি বস্তি এবং তারই মধ্যে কিছু প্রতিভাবান নিম্নবিত্তের বড় হয়ে ওঠা, যাদের বাবারা কেউ কেরানি, কেউ মুুহুরি। কিন্তু কী আশ্চর্য, পরিবেশ, দারিদ্র, হতাশা, কিছুই যে মনুষ্যত্বের বিকাশ আটকে রাখতে পারে না, তার ভূরি ভূরি প্রমাণ আমাদের চোখের সামনে ঘুরে বেড়াত। গুরুজনরা নিত্য বলতেন, বড় হতে হবে, বিজয়ী হতে হবে, তবে তো রবিঠাকুর, বিবেকানন্দ, বঙ্কিমচন্দ্র যে-সব কথা বলে গিয়েছেন, তা সত্য হবে সতত প্রতিকূল অবস্থামালার বিরুদ্ধে আত্মপ্রকাশ ও আত্মবিকাশের চেষ্টার নামই তো জীবন। ভাবতে আশ্চর্য লাগে, আমাদের পাড়ায় তখন কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের সোনার মেডেল পায়, কেউ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিশ্বসম্মান ছিনিয়ে আনে, কেউ সুদূরপ্রবাসে ডাক্তারি বিদ্যায় জগদ্বিখ্যাত হয়।
সত্যি কথা বলতে কী, পড়াশোনায় কিংবা নিজের সাধনার ক্ষেত্রে বড় হওয়াটা আমাদের সময়কার হাওড়ায় তেমন কোনও বড় ব্যাপার নয়। এঁদের কেউ ম্যাট্রিকে ফার্স্ট হচ্ছেন, কেউ গবেষণায় নতুন তথ্য আবিষ্কার করে হইহই ফেলে দিচ্ছেন, কারও ডাক্তারির চেম্বারে ভোর চারটে থেকে লাইন পড়ে যাচ্ছে। এক সময় এখানে এমন এক দল গড়ে উঠল, যাদের মজা করে ‘হাওড়া লবি’ বলা হত। যাঁরা নিজের নিজের ক্ষেত্রে দেশের এক নম্বর হওয়ার ক্ষমতা রেখেও কখনও হাওড়া ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ভাবতে পারতেন না, হাওড়ার প্রতি টান তাঁদের রক্তের মধ্যে চলে গিয়েছিল। এই টানটা অভিনব, কারণ হাওড়া ছেড়ে নদীর অপর পারে চলে যাওয়াটাই ছিল নিয়ম, জাতে উঠবার এটাই সহজতম পথ।
সাহিত্য, শিল্প, ইতিহাস, বিজ্ঞান, দর্শন ও চিকিৎসাশাস্ত্রের অনুগত দিক্পালদের মধ্যে ছিল অবিশ্বাস্য ভালবাসা। তাঁরা খোঁজ করতেন কলকাতার অঙ্গ হয়েও হাওড়া কেন এত পিছিয়ে পড়ে রইল? ইতিহাসবিদ অধ্যাপক এক বার দুঃখ করলেন, হাওড়া সম্পর্কে একটি বইয়ের রিভিউ করতে গিয়ে বিখ্যাত বাংলা কাগজের হেডলাইন হল: ‘হাওড়ারও ইতিহাস আছে’! এঁদের কেউ কিছু জিজ্ঞেস করে না, বোটানিক্যাল গার্ডেন কেন হাওড়ায়? বি ই কলেজকে কেন্দ্র করে দেশের টেকনোলজি চর্চা কেন বিকশিত হয়েছিল? বেলুড় মঠ কেন হাওড়ায়? চিরকালের বেস্টসেলার ভারতচন্দ্র কেন হাওড়ায় জন্মেছিলেন? শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কেন শিবপুরে বসে সমস্ত ভারতের হৃদয় হরণ করলেন? অথচ স্বাধীনতার পর থেকে হাওড়ার কোনও নাগরিক রাইটার্স বিল্ডিংসে কোনও পাত্তা পেলেন না? হাওড়ার উন্নতির জন্যে কেউ একটা পয়সা কেন বের করল না?
হাওড়া লবির মানুষগুলো এই অবহেলার পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র খুঁজে বার করবার চেষ্টা করেননি। এক জন ইতিহাসবিদ হাওড়ার বাড়িতে বসে দুঃখ করতেন, হাওড়ার দুর্গতির পিছনে রয়েছে মস্ত এক ভুল এবং তার পর বিস্মৃতিরোগ। তিনি বলতেন, অনেক ব্যাপারেই পলাশী যুগের শাসক ইংরেজ ছিল মাথামোটা। না হলে, রাজধানীর যোগ্য স্থান নির্বাচনে এত বড় ভুল কেউ করে? গঙ্গার পশ্চিমপারে উলুবেড়িয়া পছন্দ না-করে পূর্বপারে রাইটার্স বিল্ডিংস স্থাপন করে? মরাঠার ভয়ে, রাতে সায়েব-মেমদের নির্বিঘ্ন ঘুমের জন্য মূল ভারতভূখণ্ড হাওড়া ছেড়ে সুতানুটি, গোবিন্দপুরে আশ্রয়! আমরা সবাই ভুলে গিয়েছি, শত্রুর জাহাজের ভয়ে রাত্রে নদীর ওপর দিয়ে শিকল টেনে দেওয়া হত। মেনল্যান্ড ইন্ডিয়া তো এই হাওড়ায়। ডজন ডজন ব্রিজ তৈরি করে ভূগোলের এই ভুল শুধরানো গেল না। তার পর কয়েকশো বছর ধরে ভুল শুধরোবার কত চেষ্টা হল কল্যাণী, সল্টলেক সমস্যা জটিল থেকে জটিলতর হল। কারও মাথায় ঢুকল না, বাংলার রাজধানীর বিস্তৃতি হাওড়ায় হলে এবং জনপ্রবাহ পশ্চিমমুখো হলে ট্রাফিকের ওপর চাপ অনেক কম হত।
শোনা যায়, ডঃ বিধানচন্দ্র রায় বিভক্ত বাংলার জর্জরিত রাজধানীর অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রায়ই ভাবতেন। কিন্তু বড় ভুলের সংশোধন করে, পশ্চিমমুখী না-হয়ে তিনি সহজ সমাধানের জন্যে কল্যাণী, সল্টলেকের ব্যবস্থা করলেন। ওখানেই জনবসতি করলে ঠিক ছিল। কিন্তু বিধির বিধানে এখন মেনল্যান্ড বেঙ্গলের মানুষকে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ইলেকট্রিক, উন্নয়নের ফাইল নিয়ে সল্টলেকের ম্যারাথন রেসে অংশ নিয়ে হাঁপাতে হয়। হাওড়া লবির লোকেরা বলতেন, স্বয়ং শিবও কলকাতায় ট্রাফিক জ্যামে মলম লাগাতে পারবে না, কোনও না কোনও দিন ইংরেজের আদি ভুলটা স্বীকার করে নিয়ে রাজধানীর একটা অংশ আবার মেনল্যান্ড হাওড়ায় ফিরিয়ে আনতে হবে। হাওড়া মন্দিরতলায় বাংলার রাজধানী সাময়িক ভাবে সরিয়ে আনবার যে দুঃসাহসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা সর্ব অর্থেই যুগান্তকারী। এই চেষ্টায় বাগড়া দেবার জন্য যাঁরা ওভারটাইম করবার পরিকল্পনা করছেন, তাঁরা নদী পেরিয়ে এসে সানন্দে স্লোগান দিন: ওয়েলকাম টু মেনল্যান্ড বাংলা, এতে সবারই মঙ্গল হবে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.