|
|
|
|
সম্পত্তি নিয়ে জেটলিকে তোপ দিগ্বিজয়ের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ক’দিন আগে সনিয়া গাঁধীর জামাই রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগে সরব হয়ে কংগ্রেসকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। আজ বিজেপির শীর্ষ নেতা তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা অরুণ জেটলির সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁদের পাল্টা বেকায়দায় ফেলতে চাইলেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ। টুইটারে তিনি লিখেছেন, “সাংসদদের মধ্যে অরুণ জেটলির সম্পত্তির বৃদ্ধি হয়েছে সব থেকে বেশি। অরুণ কি এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাইবেন?”
সম্প্রতি একটি ব্লগে জেটলির সম্পত্তির হিসেব নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে সেটি আবার ওই ব্লগ থেকে তুলেও নেওয়া হয়। কিন্তু দিগ্বিজয় তাঁর নিজের ব্লগে ওই প্রতিবেদনটি রীতিমতো ‘রেকমেন্ড’ করে তুলে দিয়েছেন। পাশাপাশি টুইট করে বলেছেন, “ওই প্রতিবেদনটি তুলে নেওয়ার চেষ্টা হলেও তা এর মধ্যেই জানাজানি হয়ে গিয়েছে।” দিগ্বিজয়ের তুলে দেওয়া ওই লেখাটিতে দাবি করা হয়েছে ২০০৬ সালে জেটলির ঘোষিত সম্পত্তির পরিমাণ ছিল মাত্র ২৪ কোটি। কিন্তু এখন তা বেড়ে ১৫৮ কোটি হয়েছে। যার মধ্যে ১২০ কোটি টাকার সম্পত্তি তাঁর নিজের নামে রয়েছে। বাকিটা রয়েছে স্ত্রীর নামে। এ ছাড়া, রাজ্যসভায় পুনর্মনোনয়নের জন্য জেটলি যে হলফনামা পেশ করেছেন তাতে বলা হয়েছে, এক ব্যক্তিকে ৩০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছেন তিনি। এই বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন দিগ্বিজয়।
বিজেপির সাংবাদিক সম্মেলনে দিগ্বিজয়ের অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তা এড়িয়ে যান দলের মুখপাত্র প্রকাশ জাভড়েকর। খোদ জেটলিও এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বলেন, “যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন। দিগ্বিজয় সিংহ রোজ কিছু না কিছু বিষয়ে মন্তব্য করে থাকেন। তাঁকে তাঁর দল কংগ্রেসই গুরুত্ব দেয় না, তো আমাদের প্রতিক্রিয়া দেওয়ার কী রয়েছে?”
তবে জেটলির অস্বস্তি এখানেই শেষ নয়। আজ সকালে সংসদীয় দলের বৈঠকে লোকসভার সাংসদ যশবন্ত সিন্হা সকলের সামনেই প্রশ্ন তোলেন, লোকসভা ও রাজ্যসভা কেন ভিন্ন পথে হাঁটছে? কয়লা কেলেঙ্কারি থেকে পাক হামলা যাবতীয় বিষয়ে লোকসভায় যে ভাবে সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারছে বিজেপি, রাজ্যসভায় সেটি হচ্ছে না বলে তাঁর মত। অনেকেরই আন্দাজ, যশবন্তের এই বক্তব্যের পিছনে লালকৃষ্ণ আডবাণী, সুষমা স্বরাজদের প্রচ্ছন্ন সমর্থন রয়েছে এবং জেটলিই এই সমালোচনার নিশানা।
কাজেই লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব এখন ঐক্যের ছবি দেখানোর চেষ্টা করলেও টানাপোড়েনের চোরাস্রোত যে অব্যাহত, যশবন্তের বক্তব্য থেকেই তা স্পষ্ট। অতীতেও সংসদ চলাকালীন বিজেপির অন্দরে সুষমা ও জেটলির মধ্যে নানা বিষয়ে সংঘাত বেঁধেছে। যশবন্তের বক্তব্য প্রসঙ্গে অবশ্য ঘনিষ্ঠ মহলে জেটলি জানিয়েছেন, দু’টি সভা কখনওই একই ভাবে চলতে পারে না। দলের পক্ষ থেকে যে যে বিষয় উত্থাপন করার সিদ্ধান্ত হয়, তা দলের সব নেতাই মেনে চলেন। কিন্তু কোন সভায় কে কতটা আক্রমণাত্মক হবে, তা সেই সভার পরিস্থিতি বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজ্যসভাতেও এমন অনেক বিষয় উত্থাপন করা হয়, যা লোকসভায় হয় না। ফলে এই তুল্যমূল্য বিচার করাটা অমূলক। |
|
|
|
|
|