পাঁচিলের গায়ে বিপজ্জনক ভাবে হেলে পড়েছিল গাছটি। শুরু হয়েছিল সেটিকে কেটে ফেলার কাজও। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুরের অঝোর বৃষ্টিতে কাজ বন্ধ রেখেছিলেন পুরকর্মীরা। গাছ-সহ পাঁচিল যাতে কারও ঘাড়ে না-পড়ে, তাই ঘিরে রাখা হয়েছিল ফুটপাথও। সেই ঘেরা জায়গা দিয়ে হাঁটার সময়েই গাছ-সহ পাঁচিল ভেঙে পড়ে মৃত্যু হল এক মহিলার।
ঘটনাটি ঘটেছে বেনিয়াপুকুর থানা এলাকায় সিআইটি রোডে মিশনারিজ অফ চ্যারিটি ফাদার্সের যিশু ভবনের সামনের ফুটপাথে। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম কল্যাণী সাহা (৬১)। তিনি ওই এলাকারই রায়চাঁদ পাল লেনে থাকতেন। ব্যাঙ্কের কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময় ফুটপাথের ঘিরে রাখা অংশে ঢুকে পড়েন কল্যাণীদেবী। তখনই গাছ-সহ দেওয়ালটি তাঁর উপরে ভেঙে পড়ে। গুরুতর আহত কল্যাণীদেবীকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। যিশু ভবনের এক কর্মী জানান, ভারী বৃষ্টির জেরে সকালেই দেওয়ালের উপরে হেলে পড়ে গাছটি। পুলিশ ও পুরকর্মীরা আসেন। পুলিশ জানায়, পুরকর্মীরা গাছ কাটা শুরু করলেও ফের বৃষ্টি নামায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে থাকা এক পুলিশকর্মীর কথায়, “ওই মহিলাকে ঘেরা জায়গায় ঢুকতে নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি শোনেননি।” মিশনারিজ অফ চ্যারিটি ফাদার্সের কর্ণধার ফাদার জুলিয়াস বলেন, “৬০ ফুট উঁচু গাছটি কাটার জন্য মাস দুয়েক আগেই পুরসভায় আবেদন করেছিলাম। এ ভাবে যে দুর্ঘটনা ঘটবে, ভাবতেও পারিনি।”
সন্ধ্যায় উত্তর কলকাতার দুর্গাচরণ মিত্র স্ট্রিটের একটি পুরনো তেতলা বাড়ি ভেঙে পড়ে। ওই বাড়িতে কেউ থাকতেন না। ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় বড়তলা থানার পুলিশ। বাড়িটি ঘিরে রেখে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু হয়। |