না না না রাখি বাঁধতে দেব না |
বোন বাঁধলে ঠিক আছে। কিন্তু পছন্দের মেয়েটি বাঁধলে? কেস। কেস। কেস।
জেন ওয়াই সেলেবদের অভিজ্ঞতা শুনলেন অরিজিৎ চক্রবর্তী |
|
বোন মেমের সঙ্গে সাহেব ভট্টাচার্য |
বোনকে কষ্ট দিতে পারব না |
অঙ্কুশ |
কেস খাওয়া
স্কুল আর কলেজে পড়ার সময় এমন অনেক কেস খেয়েছি। তখন সিনেমার হিরো না, তাতে কী? হিরো-হিরো হাবভাবে কোনও খামতি নেই। কিন্তু একবার সেই হিরোসুলভ ভাবের ফানুস ফেটে গিয়েছিল। স্বভাবে লাজুক। আর না বলতে পারি না। কে কখন রাখি পরিয়ে দেয়? সেই ভয়ে রাখির দিন স্কুলে যেতাম না। তবে ক্লাস টেনে পড়ার সময় একবার একটা মেয়ে বাড়িতে এসে রাখি পরিয়ে দিয়েছিল।
পালানোর উপায়
বাড়ি বসে থেকে যে কোনও লাভ হবে না বুঝে গিয়েছিলাম। তাই নিজেই বুদ্ধি করে কয়েকটা এড়াবার পথ বের করেছিলাম। প্রথমটা হল, গম্ভীর গলায় বলা, আমাদের রাখি পরতে নেই। মানে পারিবারিক নিয়মে রাখি পরা বারণ। আর একটা ছিল, অন্য কারও কাছে রাখি পরলে, আমার বোন খুব দুঃখ পাবে। ছোট বোনকে কষ্ট দিতে পারব না।
|
সাহেব ভট্টাচার্য |
কেস খাওয়া
প্রচুর খেয়েছি। স্কুল হোক কি টিউশন, মেয়েদের ইম্প্রেস করতে কোনও সুযোগ ছাড়তাম না। দুষ্টুও তো কম ছিলাম না। অনেক সময় ক্লাসে দুষ্টুমি করতাম, যাতে টিচার ক্লাসের বাইরে বের করে দেন। আর আমি প্রাণভরে মেয়েদের ঝারি মারতে পারি। সে ভয়য়েই হয়তো মেয়েরা আমাকে রাখি পরিয়ে দিত। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এসেও এমন অনেক কেস খেয়েছি। অনেক সময় পছন্দের অভিনেত্রী এসে হাতে রাখি পরিয়ে দিয়েছে। ভাবুন একবার!
পালানোর পথ
সেটাও শিখেছি ইন্ডাস্ট্রিতে এসে। ইন্ডাস্ট্রিরই এক বন্ধুর থেকে। আগের যে কেস খাওয়ার কথা বললাম। তখন সেখানে আমার পাশে বসেছিল, সেই বন্ধু। পালা আসতেই সেই অভিনেত্রীকে ও বলল, “আমি বাড়ির বাইরে কারও কাছে রাখি পরি না।” আমারও ‘দিমাগ কি বত্তি’ জ্বলে উঠল। আমার বোন তো আছেই। ব্যস, ওর কাঁধে বন্দুক রেখে চলল আমার রাখি না-পরা।
|
অর্জুন চক্রবর্তী |
কেস খাওয়া
আমার কাছে ব্যাপারটাকে ঠিক কেস খাওয়া না। আমার ড্রিম গার্ল কখনও আমাকে রাখি পরাতে আসেনি। কিন্তু হ্যাঁ, স্কুলে ছেলেদের মধ্যে এমন আলোচনা প্রায়ই হত যে,
স্বপ্নের মেয়েটি রাখি পরালে কী হবে? আসলে এমন কেস তো কম-বেশি সবাই খেয়েছে। পছন্দের মেয়েটির দিকে বাড়িয়ে দিচ্ছি হাত। আর সে পরিয়ে দিচ্ছে রাখি। স্বপ্ন তো ভেঙে চুরমার। আমারও কখনও কখনও হয়েছে।
পালানোর পথ
অনেক সময় হয়েছে, রাখি পরে খুব দুঃখ পেয়েছি। কিন্তু কিছু করার ছিল না। বন্ধুদের কাছ থেকে শেখা বিদ্যা যে খুব কাজে লাগাতে পেরেছি তা নয়। তবে যে ক’টা টিপস বন্ধুদের থেকে পেয়েছি, তার মধ্যে প্রথম সারিতে থাকবে, ‘রাখির অভ্রতে আমার অ্যালার্জি’! |
|
|
কেন করলে এ রকম? |
মিমি চক্রবর্তী |
স্বাভাবিক ভাবে রাখির দিন আমাদের স্কুলে কোনও ছেলে আসত না। যদি কোনও মেয়ে তাদের রাখি পরিয়ে দেয়, সেই ভয়ে। তবে কেউ কেউ ভুল করে বা বেশি সাহস দেখিয়ে চলে আসত। একবার একটা মজার ঘটনা ঘটেছিল। যে ছেলেটা আমার খুব পিছনে লাগত তাকে রাখি পরাতে গিয়েছি। আমাকে দেখেই সে চোঁ-চাঁ দৌড় দিল। পরে শুনি, সে নাকি ছেলেদের টয়লেটে ঢুকে বসেছিল। স্কুল শেষ না-হওয়া পর্যন্ত সেখানেই বসেছিল। ওই একটা জায়গায় তো আর মেয়েরা ঢুকতে পারি না।
|
সায়নি ঘোষ |
স্কুলে রাখি পরানো নিয়ে বেশ ঝামেলা হত। ছেলেরা কিছুতেই রাখি পরবে না। আর আমরা, মেয়েরা, ওদের পরিয়েই ছাড়ব। তবে একবার পুরো উল্টো কেস হয়েছিল। ক্লাস ফাইভে একটা ছেলেকে আমার ভাল লেগেছিল। আমি প্রোপোজ করতেই সে জানাল, ওকে নাকি আমি সেই বছরই রাখি পরিয়েছি। আমি তো সবাইকে জোর করে রাখি পরাতাম। বন্ধুদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকে বসলাম। ওরা সবাই মিলে বলল, “এ ছেলেকে ছেড়ে দে। যাকে রাখি পরিয়েছিস, তার সঙ্গে আর প্রেম করিস না।” কী আর করব! ভাঙা হৃদয় নিয়ে ছেড়েই দিলাম। |
|