ভুটান সীমান্তবর্তী জঁয়গার সঙ্গে যোগাযোগকারী রাজ্য সড়ক জুড়ে গর্ত তৈরি হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। এলাকাবাসী ওই রাজ্য সড়ককে তালাব বলে পরিচয় দিতেই অভ্যস্ত। ছোটো পুকুর বা ডোবাকে হিন্দিভাষীরা তালাব বলেন। খানাখন্দে ভরা রাজ্য সড়কে বর্ষার সময়ে জল জমে রাস্তার গর্তগুলি ছোট মাপের ডোবার চেহারা নিয়েছে। ভুটান থেকে জঁয়গা ঢোকার এই রাস্তাটি দুটি ভাগে ভাগ হয়ে একটি রাস্তা থানার সমানে দিয়ে গিয়েছে অন্য অংশটি সুপার মার্কেটের পাশ দিয়ে প্রায় ৮০০ মিটার ঘুরে ফের মূল সড়কের সঙ্গে মিশেছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তাটি বেহাল হয়ে থাকলেও পূর্ত দফতর ব্যবস্থা নেয়নি। পূর্ত দফতরের নির্মাণ বিভাগের হাসিমারার সহকারী বাস্তুকার তন্ময় সরকার বলেন, “ওই রাস্তাটির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
বর্ষায় বেহাল সীমান্ত শহর। ছবিটি তুলেছেন নারায়ণ দে। |
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পরিবহণ এবং পর্যটকদের যাতায়াতের ব্যস্ততম সড়কটি বর্ষায় বিপজ্জনক আকার নিয়েছে। ওই রাস্তা দিয়েই এলাকার বেশ কয়েকটি স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। গুরুত্বপূর্ণ বৌবাজার সহ জঁয়গার বেশিরভাগ দোকানই রাস্তার দুধারে রয়েছে। ফলে পড়ুয়া থেকে সাধারণ বাসিন্দারাও সড়ক যাতায়াতের দুর্ভোগ থেকে রেহাই পায় না বলে অভিযোগ। জঁয়গা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রামা শংকর গুপ্তা বলেন, “ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার জন্য ছোট গাড়ির চাকা অর্ধেক জলে ডুবে যায়। বাজার করার জন্য বাসিন্দারা এই রাস্তাটি ব্যবহার করেন। দ্রুত রাস্তা মেরামতের দাবিতে পূর্ত দফতরে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।” ব্যবসায়ী অনিল জয়সওয়াল বলেন, “পাশেই ভুটানের ফুন্টশেলিং শহরের রাস্তার সঙ্গে আমাদের রাজ্য সড়কের তুলানা করালে লজ্জায় পড়তে হবে। ভুটান গেটের সামনেও রাস্তার বেহাল দশা।” রাস্তার বেহাল দশায় নিয়মিত ছোট-মাঝারি মাপের দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে বলে বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন। |