উন্নয়নে খরচ হয়নি, টাকা ফেরতের দাবি ছাত্র সংসদের
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
‘স্টুডেন্ট ইউনিয়ন ফান্ড’-এ ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া অর্থ ফেরত দেওয়ার দাবিতে অধ্যক্ষের ঘরের সামনে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভ করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সোমবার দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা জগদীশচন্দ্র পলিটেকনিক কলেজে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারী এবং অধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনার পরে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়। পুলিশ ও কলেজ সূত্রের খবর, কয়েক বছর ধরে কলেজে ছাত্রছাত্রীদের উন্নয়নের জন্য থাকা ২ লক্ষেরও বেশি টাকা খরচ করা যায়নি। ওই টাকা ছাত্রছাত্রীদের উন্নয়নে খরচের জন্যই আন্দোলনে নেমেছে টিএমসিপি। ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক শুভদীপ সিংহ রায় বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থেই তাঁদের দেয় টাকা হয় ফেরত দেওয়া হোক, নয়তো তা উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করা হোক। এর জন্যই আমাদের এই আন্দোলন।” অধ্যক্ষ দেবব্রত প্রধান বলেন, “গত এপ্রিলে এই কলেজে যোগ দিয়েছি। কিছু পদ্ধতিগত ত্রুটির জন্যই ওই ফান্ডের টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তোলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এই সমস্যা যাতে দ্রুত মেটানো যায় তার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
|
জামতলা থেকে ক্যানিং, যন্ত্রণার ১৪ কিলোমিটার |
পিচ উঠে গিয়েছে কবেই। গোটা রাস্তা জুড়ে এখন শুধু বড় বড় গর্ত। বর্ষায় তা জলে ভরে যাওয়ায় গর্তের গভীরতা আন্দাজে ব্যর্থ যানচালক থেকে পথচারীরা। ফলে দুর্ঘটনাও ঘটছে অবিরত। কুলতলির জামতলা থেকে হেড়োভাঙা প্রায় ১৪ কিলোমিটার রাস্তা বর্তমানে একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ২০১০ সালে সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদ দফতর থেকে রাস্তাটি তৈরি করা হয়। তার পরে দীর্ঘদিন কেটেছে। কিন্তু রাস্তার সংস্কারে নজর দেয়নি প্রশাসন। এ জন্য এলাকার মানুষ আন্দোলনেও নামেন। কিন্তু সাড়া মেলেনি প্রশাসনের কাছ থেকে। বেহাল রাস্তায় দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। খারাপ রাস্তার জন্য জামতলা থেকে ক্যানিং পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ভরসা বলতে অটো ও মোটরভ্যান। কিন্তু বেহাল রাস্তায় তা অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ থেকে নিত্যযাত্রী, কারওরই ভোগান্তির শেষ নেই। সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী মণ্টুরাম পাখিরা বলেন, “বর্ষার জন্য রাস্তাটি সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্ষার পরে যাতে সংস্কারের কাজ শুরু করা যায় তার ব্যবস্থা হচ্ছে।”
|
ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক। |
১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট ভারত স্বাধীনতা পেলেও উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ মহকুমা তখন পূর্ব পাকিস্তানের যশোহর জেলার অন্তর্গত ছিল। ১৭ অগস্ট গভীর রাতে বেতার ঘোষণায় মহকুমার মানুষ জানতে পারেন বনগাঁকে স্বাধীন ভারতের ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পরদিন অর্থাৎ ১৮ অগস্ট ভোরে বনগাঁ ট্রেজারি বিল্ডিং-এ স্বাধীন ভারতের জাতীয় পতাকা তোলা হয়। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে তার পর থেকে প্রতি বছর ১৮ অগস্ট বনগাঁ আদালতের আইনজীবীরা আদালত চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। |