লেভেল ক্রসিংয়ের গেটম্যানের ঘরের বারান্দা থেকে এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। রবিবার রাতে ডায়মন্ড হারবারের গুরুদাসনগর রেলগেটের ঘটনা। নিহত রহমত আলি মল্লিকের (৩৭) বাড়ি গুরুদাসনগর স্টেশন এলাকায়। তিনি রেলের ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতেন। পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। সিপিএম এবং তৃণমূল দু’পক্ষই নিহতকে তাদের সমর্থক দাবি করায় ঘটনাটিতে রাজনীতির রং লেগেছে।
গেটম্যান শ্যামল হালদার পুলিশকে জানান, তিনি ঘরে ছিলেন। বাইরে থেকে শিকল তুলে দিয়ে কয়েক জন দুষ্কৃতী রহমত আলিকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায়। তাঁর চিৎকার শুনে লোকজন এসে শিকল খুলে তাঁকে উদ্ধার করেন। খুনের কারণ নিয়ে সোমবার রাত পর্যন্ত পুলিশ অন্ধকারে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রহমতের বাড়ি মরুইবেড়িয়া গ্রামে হলেও বছর খানেক ধরে তিনি পূর্ব রেলের শিয়ালদহ-ডায়মন্ড হারবার শাখায় গুরুদাসনগর স্টেশন লাগোয়া এলাকায় বাস করছিলেন। তাঁর দুই মেয়ে, এক ছেলে। স্ত্রীর সঙ্গে বছর খানেক তাঁর সম্পর্ক ছিল না। রবিবার রাতে সাড়ে দশটা নাগাদ তিনি শ্যামলবাবুর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তার পরেই ওই ঘটনা। শ্যামলবাবুকে উদ্ধারের পরে লোকজন পুলিশে খবর দেন। পুলিশ রহমতকে নিয়ে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান।
ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদারের দাবি, “রহমত আমাদের দলের সমর্থক ছিলেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তিনি সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। প্রচারেও যোগ দিয়েছিলেন। সেই আক্রোশে সিপিএমের লোকজনই ওকে খুন করেছে।” সিপিএম অভিযোগ অস্বীকার করেছে। নিহতের ভাই আনসার মল্লিকের দাবি, “দাদা সিপিএমই করত। তৃণমূলের লোকজনই ওকে খুন করল।” একই দাবি করে সিপিএমের ডায়মন্ড হারবার জোনাল কমিটির সদস্য সুপ্রকাশ গুপ্তরও। |