বর্ষার জলে ধুয়ে গিয়েছে মাটির রাস্তা। খাল আর রাস্তা আলাদা করার উপায় নেই। ভারী বৃষ্টিতে কোমর সমান জল জমে গিয়ে বেহাল দশা দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর-২ ব্লকের খাঁড়ি পঞ্চায়েত এলাকায় কাশীনগর বাজারপোল (তাঁতির পোল) থেকে বাহিরকাঞ্জলি গ্রামে যাতায়াতের রাস্তাটির। এলাকাবাসীর ক্ষোভ, এখনও পর্যন্ত কেউ রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগী হয়নি।
কাশীনগর পাকা পোল (তাঁতির মোড়) থেকে বাহির কাঞ্জলি গ্রামে যাওয়ার মাটির রাস্তার পাশেই রয়েছে সোনাতলা বড় খাল। মাটির রাস্তাটি প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ। বছর দশেক আগে ৫০ মিটার মাটির রাস্তা বর্ষার জলে ধুয়ে খালের সঙ্গে একাকার হয়ে যায়। সেই সময়ে খাঁড়ি পঞ্চায়েতের উদ্যোগে একটি বাঁশের মাচা করে দেওয়া হয়েছিল। কয়েক বছর তাই দিয়েই চালানোর পরে বছর তিনেক আগে সেটিও ভেঙে যায়। তার পরে আর মাচা তৈরি করা হয়নি। ফলে কোমর জল ভেঙে যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের। |
এলাকায় একমাত্র বড় বাজার বলতে রয়েছে কাশীনগর বাজারটি। তার পাশেই রয়েছে হাইস্কুল। বাজার বা স্কুলে যাওয়ার জন্য ওই রাস্তাটিই সুবিধাজনক বাহিরকাঞ্জলি গ্রামের বাসিন্দাদের। কিন্তু রাস্তা জলে ডুবে থাকায় এখন যাতায়াত প্রায় বন্ধ। এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই মুহূর্তে ওই জল পেরিয়ে যাওয়াও অসম্ভব হয়ে উঠছে। ছোটদের পক্ষেও চলাফেরা করা বিপজ্জনক। একবার পা ফসকে গেলে খালের জলে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ না থাকায় জলে ডোবা রাস্তা চলাচলের অযোগ্য। ফলে সন্ধ্যার পরে রাস্তা চলা দায়। সপের ছোবল খাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, এই রাস্তা চলাফেরার উপযোগী হলে বাহির কাঞ্জলি ছাড়াও ফুল বাগিচা, গজমুড়ি মহামায়া, চৈবাচীর চক ছাড়া বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুবিধা হত। কিন্তু বেহাল রাস্তার জন্য রাতে কেউ এই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে পারে না। স্থানীয় বাসিন্দা তপন শিকদার বলেন, “দীর্ঘ দিন রাস্তা জলে ডুবে থাকলেও কেউ তা সংস্কারে উদ্যোগী হচ্ছে না। ভাঙতে ভাঙতে এখন প্রায় ১০০ মিটার রাস্তা জলের তলায়।”
যুগ্ম বিডিও শৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি আমি ঠিক জানি না। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।” |