নিম্নচাপের টানা বৃষ্টিতে সাধারণ মানুষের মুখ ব্যাজার থাকলেও কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
জুলাই ও অগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত জেলায় স্বল্প বৃষ্টিতে কপালে ভাঁজ পড়েছিল চাষির। জলাভাবে পাট ও আমন চাষিদের মাথায় হাত পড়েছিল। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের ধারাবাহিক বৃষ্টিপাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। শুখা মরসুমে খেতের পাট খেতেই পড়েছিল। বৃষ্টিতে জলাশয়ে জল জমায় চাষি পাট পচানোর কাজ শুরু করেছে। আমনের চারা রোয়ার কাজও বিলম্বে হলেও চাষি শুরু করতে পেরেছে। অবশ্য সব্জি চাষিরা এই বৃষ্টিতে প্রমাদ গুনছেন। কারণ, নাগাড়ে চলতে থাকা এই বৃষ্টি সব্জি চাষে ক্ষতি করবে। খেতে ফুলকপি পচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও ঢেঁড়শ, ঝিঙে চাষিরা চিন্তিত। টানা বর্ষণে ওই সব সব্জির ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
তবে অর্থকরী ফসল পাট চাষিরা এই বৃষ্টিতে যারপরনাই খুশি। স্বল্পবৃষ্টির জন্য প্রায় ৬০ শতাংশ পাট জমিতেই পড়ে ছিল। পচানো যাচ্ছিল না। কিন্তু এই বৃষ্টিতে চাষি পাট পচানোর জল পেয়েছে। নদিয়ার বড় আন্দুলিয়ার চাষি প্রবীর হালদার বলেন, “খুব ভাল সময়ে বৃষ্টিটা নামল। এর ফলে পাট পচানোর জল পেলাম আমরা। পাট কাটতে না পারার জন্য জমিতে কীভাবে আমন চাষ করব তা বুঝে উঠতে পারছিলাম না।” জেলার সহকারী কৃষি অধিকর্তা পার্থ ঘোষ বলেন, “এই বৃষ্টির ভালো-মন্দ দু’টি দিকই রয়েছে। পাট চাষিদের এই বৃষ্টি কাজে দিলেও সব্জি চাষিদের ক্ষেত্রে এই বর্ষণ তেমন কাজে দেবে না।”
আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার। সোমবার ভোরে ভারত-বাংলাদেশের দৌলতপুর সীমান্ত এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল বিএসএফ। জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রগুলির মধ্যে রয়েছে ৪টি পিস্তল, ৪টি গুলি ভর্তি ম্যাগাজিন ও ১৮ রাউন্ড তাজা গুলি। বিএসএফের ২০ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের কমান্ডিং অফিসার অরবিন্দ ঘিরদিয়াল জানান, সোমবার ভোরে জনা চারেক দুষ্কৃতী সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। সেই সময় তাদের ধাওয়া করে অস্ত্রগুলি উদ্ধার করা হয়। তবে ওই দুষ্কৃতীরা পলাতক। |