মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের এলাকায় বোর্ড গড়া নিয়ে প্রকাশ্যে এসে পড়ল তৃণমূলের গোষ্ঠীবিবাদ। এক গোষ্ঠীকে হারাতে সিপিএম ও কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বোর্ড গড়ল শাসকদলের অপর গোষ্ঠী। স্বভাবতই এই ঘটনায় বিব্রত জেলা নেতৃত্ব।
কৃষ্ণনগর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের ভাতজাংলা পঞ্চায়েতে মনোনয়ন পর্ব থেকেই শাসকদলের অর্ন্তদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়ে। অভিযোগ ওঠে ওই পঞ্চায়েতে দীর্ঘদিনের প্রধান কমল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়ে তাঁকে হারিয়ে দেওয়া হয়। ২৭ সদস্যের ভাতজাংলা পঞ্চায়েতে তৃণমূল জেতে ১৩টি আসনে। তিন জন নির্দল প্রার্থীও জয়ী হন। কংগ্রেস ৭টি ও সিপিএম ৪টি আসন পায়। শনিবার বোর্ড গঠনের দিনে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী আলাদা করে প্রধান পদের জন্য প্রার্থী দেয়। ১৫টি ভোট পেয়ে প্রধান হয় তৃণমূলের এক গোষ্ঠী থেকে। উপ প্রধান হন কংগ্রেসের প্রার্থী। নিজের গোষ্ঠীর প্রধান ও উপ প্রধান পদের প্রার্থীরা পরাজিত হওয়ার পর কমলবাবু তোপ দাগেন মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, “নিজের গোষ্ঠীর প্রার্থীকে জেতাতে মন্ত্রী বিরোধীদের সঙ্গে সমঝোতা করলেন।” উজ্জ্বলবাবু অবশ্য এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, “শেষমেশ আমাদের দলের প্রার্থী প্রধান হয়েছেন। তাছাড়া নিজেদের দলের উপর ভরসা না করে সিপিএম সদস্যরা আমাদের সমর্থন করেছে। এতে আমাদের কী করার আছে?”
|
সিপিএমের বিরুদ্ধে মারধর ও এক মহিলাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল। সোমবার কৃষ্ণগঞ্জের গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন ছিল। অভিযোগ, বোর্ড গড়ার পর সিপিএমের লোকজন তৃণমূল সমর্থকদের বাড়িতে চড়াও হয়। মারধর করা হয় শাসকদলের কর্মী-সমর্থকদের। তৃণমূলের দাবি, তাদের পাঁচ সমর্থক জখম হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দু’জনকে কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তৃণমূল সমর্থক এক মহিলার অভিযোগ, সিপিএমের লোকেরা তাঁর শ্লীলতাহানি করেছে। গ্রামেরই এক তৃণমূলকর্মী রবিউল মণ্ডল বলেন, “আচমকা চড়াও হয়ে আমাদের মারধর করল সিপিএম। সিপিএমের লোকেরা আমাদের মহিলা সমর্থকদের শ্লীলতাহানি পর্যন্ত করেছে।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুমিত বিশ্বাস বলেন, “এমন ঘটনার কথা জানা নেই।”
|
হুঁশিয়ারি সংবলিত এবং নীচে ‘মাওবাদী’ লেখা পোস্টার মিলল কল্যাণীর বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। খান তিনেক পোস্টারের একটিতে সরাসরি হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে উপাচার্য চিত্তরঞ্জন কোলেকে। চিত্তরঞ্জনবাবু পোস্টারগুলি আদৌ মাওবাদীদেরই লেখা কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “কয়েক মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তি রয়েছে। এটা এক শ্রেণির দুষ্কৃতীরা মানতে পারছে না। তারা কাজে লাগাচ্ছে ছাত্রদেরই।” সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ও কৃষি ভবনের দেওয়ালে সাদা কাগজে লাল রঙে লেখা ওই পোস্টারে হুমকি দেওয়া হয়েছে, ‘খুনের চক্রান্তে জড়িত উপাচার্যের গণ আদালতে বিচার করা হবে’। সহ-উপাচার্য বিশ্বপতি মণ্ডল বলেন, “পুলিশকে মৌখিক ভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ জানানো হবে।” এসডিপিও (কল্যাণী) চন্দ্রশেখর বর্ধন জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
|
তিন দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর এক যুবকের দেহ মিলল। রবিবার বিকেল ফরাক্কার মালঞ্চা থেকে উদ্ধার হওয়া ওই যুবকের নাম দীপ কর্মকার (২৩)। তিনি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, রায়গঞ্জের বাসিন্দা হলেও ছোট থেকে মালদহের কালিয়াচকে মাসির কাছে থাকতেন দীপ। শুক্রবার মালদহ শহরে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন ওই যুবক। তারপর থেকে আর খোঁজ মেলেনি। গত রবিবার ফরাক্কার মালঞ্চের বাসিন্দারা বিলে একজনের দেহ ভেসে থাকতে দেখে পুলিশে জানায়। মেলে মোবাইল ফোন, পরিচয়পত্র-সহ একটি ব্যাগ।
|
বেসরকারি এক বাস দুর্ঘটনায় জখম হন ১৪ জন যাত্রী। আহতদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সোমবার দুপুরে ওই বাসটি যাত্রী বোঝাই করে তারাপীঠ থেকে বহরমপুরের দিকে আসছিল। সেই সময় বহরমপুর থানার ফতেপুরের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে বাসটি উল্টে যায়। ওই ঘটনার জেরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বেশ কিছু ক্ষণ যানজট হয়।
|
এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। রবিবার রাতে নাকাশিপাড়ার শালিকগ্রামে রাস্তার ধার থেকে দেহটি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান গুলি করে শ্বাসরোধ করে ওই ব্যক্তিকে খুন
করা হয়েছে।
|
বোমা বাঁধার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে গেল দুই দুষ্কৃতী। রবিবার রঘুনাথগঞ্জের ভৈরবটোলা গ্রামের ঘটনা। |