সাহায্যপ্রার্থী এক তরুণীকে অশালীন এসএমএস পাঠানো এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ নিয়ে ওই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে জোড়া তদন্ত শুরু হয়েছে। একটি পুলিশের বিভাগীয় তদন্ত। অন্য তদন্তটি হচ্ছে নিউ আলিপুর থানায় তরুণীর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে।
মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি অশোককুমার প্রসাদ সোমবার বলেন, “তরুণীর অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত করে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলার পুলিশ সুপারকে। অভিযুক্ত পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, এসপি-র তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতেই সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর জানান, তদন্ত প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। তরুণীর মোবাইলের মেসেজ ডাউনলোড করে দেখা হবে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তরুণীকেও।
বিভাগীয় তদন্তের সঙ্গে সঙ্গে ওই তরুণী নিউ আলিপুর থানায় যে-অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, তার ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশও ওই এএসপি-র বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। ডিসি(দক্ষিণ) মুরলিধর শর্মা জানান, ওই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। দক্ষিণ বিভাগের এক জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। পুলিশ জানায়, ওই তরুণী এএসপি পদের এক অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। তাঁর অভিযোগ সত্য হলে ওই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে মামলা শুরু করার জন্য সরকারের অনুমতি প্রয়োজন।
অভিযোগ, বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলার সূত্রে মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মৃণাল মজুমদারের সঙ্গে ২০১২ সালে পরিচয় হয়েছিল আজিমগঞ্জের বাসিন্দা এক তরুণীর। সেই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধেই অশালীন এসএমএস পাঠানো এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ওই তরুণী। ডিআইজি (মুর্শিদাবাদ রেঞ্জ), রাজ্য পুলিশের ডিজি থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য মহিলা কমিশনের কাছে ডাক মারফত অভিযোগ করেন তিনি। তরুণীর অভিযোগ, তাঁকে চাপে ফেলার জন্য তাঁর বন্ধুকে গাড়ি চুরির মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।
ওই গাড়ি চুরির ঘটনায় তরুণীর বন্ধু শান্তনু মুর্মুকে গ্রেফতারও করা হয়। সোমবার তাঁকে লালবাগ এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম নীলাঞ্জনা দে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। শান্তনুর আইনজীবী কৌশিক দে বলেন, “আমার মক্কেলকে পুলিশ যে-গাড়ি চুরির ঘটনায় ধরেছে, সেটি এখন বাদী পক্ষের হেফাজতেই আছে।” |