|
|
|
|
হলদিয়ায় সমীক্ষক নিয়োগ |
অনিয়ম, ভেস্তে গেল ইন্টারভিউ
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
স্থানীয় কিছু যুবকের বাধায় ভেস্তে গেল হলদিয়ার পুর-কর নির্ধারণের অস্থায়ী সমীক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় পাঁচ বছর অন্তর সমীক্ষা চালিয়ে পুরএলাকার প্রতিটি বাড়ির পুর-কর পরিমাপ করতে হয়। গত বছরে পুর-নির্বাচন থাকায় এই সমীক্ষার কাজ হয়নি। সেই অনুযায়ী এ বছর জরিপের কাজ করতে স্বল্পমেয়াদের জন্য সমীক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। মাসখানেক ধরে পুরএলাকার বিভিন্ন স্থানীয় কেবল নেটওয়ার্কে সেই বিজ্ঞাপন দেন পুর কর্তৃপক্ষ। পুরসভার ২৬টি ওয়ার্ড থেকে ২৬ জন সহকারী সমীক্ষক ও ২৬ জন সুপারভাইজার নিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়। এ দিন ছিল ‘ওয়াক-ইন ইন্টারভিউ’।
পুরভবন খোলার পর থেকেই ভিড় জমাতে থাকেন বহু বেকার যুবক-যুবতী। আশপাশের পঞ্চায়েত এলাকা থেকেও চাকরিপ্রার্থীরা আসেন। এ দিকে দুপুরে ইন্টারভিউ শুরুর পরেই পুরসভায় চড়াও হন এলাকারই বেশ কিছু যুবক। তাঁদের বক্তব্য, নিয়ম মোতাবেক পুরসভা এলাকা থেকেই সমীক্ষক নিয়োগ করার কথা। অনিয়মের অভিযোগ তুলে হামলাকারীরা পুরভবন থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন সমস্ত কর্মপ্রার্থীদের। কর্মপ্রার্থী মৃন্ময়ী সামন্ত, শুভ্রাংশু মাইতি, পল্লবী শ্রীধরেরা বলেন, “আমরা পুর এলাকারই বাসিন্দা। কিছু যুবক এসে আবেদনপত্র কেড়ে নিল।”এ দিকে, গণ্ডগোল দেখে পুর-কর্তৃপক্ষ স্থগিত করে দেন ইন্টারভিউ। পুরপ্রধান তমালিকা পণ্ডাশেঠ বলেন, “বিজ্ঞাপনে কিছু ত্রুটি ছিল। তাই নিয়ে গণ্ডগোল বাধায় ইন্টারভিউ স্থগিত করেছি।” উপ-পুরপ্রধান নারায়ণ প্রামাণিক তৃণমূলের লোকেরাই গণ্ডগোল পাকিয়েছে বলে দাবি করেন। বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের দেবপ্রসাদ মণ্ডল অবশ্য বলেন, “ পুর এলাকার বাইরের বহু কর্মপ্রার্থী ভিড় জমিয়েছিলেন। তাই স্থানীয় মানুষ তার প্রতিবাদ করেছিলেন। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই।” |
|
|
|
|
|