বোর্ড গঠন নিয়ে দ্বন্দ্ব তৃণমূলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সোমবার পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা গেল হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের শঙ্করহাটি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে। এখানে প্রধান পদে জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তৃণমূলেরই দু’জন সদস্য। একজন ছিলেন বাসুদেব সাঁতরা। অন্যজন অনুপম ঘাঁটি। শেষ পর্যন্ত ভোটাভুটিতে বাসুদেববাবুকে হারিয়ে প্রধান হন অনুপমবাবু।
এই পঞ্চায়েতের মোট সদস্য ১৫। তৃণমূলের সদস্য ৮ জন। সিপিএম পেয়েছে ৫টি আসন। বিজেপি এআইডিইউএ পেয়েছে ১টি করে আসন। ভোটাভুটিতে অনুপমবাবু ৬টি ভোট পান। অন্য দিকে বাসুদেববাবু পান ৫টি ভোট। বাসুদেববাবুর অনুগামী তৃণমূলের এক গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য আয়েসা সরকার বলেন, “বাসুদেববাবুকেই পঞ্চায়েত প্রধান করার জন্য দলের পক্ষ থেকে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এতে বাদ সাধেন জগৎবল্লভপুরে আমাদের বিধায়ক আবুল কাশেম মোল্লা। তাঁরই মদতে অনুপমবাবু বাসুদেববাবুর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু আমরা পাঁচজন পঞ্চায়েত সদস্য বাসুদেববাবুর পক্ষে থাকায় অনুপমবাবুকে জেতাতে বিধায়ক সিপিএমের একজন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ছাড়াও বিজেপি এবং এআইডিইউএ-এর সমর্থন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের সমর্থন জোগাড় করেন।” আয়েশার অভিযোগ, সমর্থনের পুরস্কার হিসাবে উপ-প্রধান পদটি দেওয়া হয়েছে বিজেপিকে। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিধায়ক বলেন, “বোনের অস্থি সংক্রান্ত অস্ত্রোপচারে কলকাতায় থাকতে বাধ্য হওয়ায় পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে কী হয়েছে তা বলতে পারব না। তবে উপ-প্রধান পদে প্রার্থী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের দলের পঞ্চায়েত সদস্যদের মধ্যে মতবিরোধ হয়েছিল। প্রধান নির্বাচনে মনে হয় স্থানীয়ভাবে ওই ঘটনারই প্রভাব পড়েছে। এতে দলের নেতৃত্ব কেউ জড়িত নেই।” এটাকে স্থানীয় ব্যাপার বলে জানিয়ে দিয়েছে বিজেপি, সিপিএম এবং এআইডিইউএ-ও।
অন্য দিকে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে কাজিয়া বাধে বাগনান ১ ব্লকের সাবসিট গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১৬টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস ও তৃণমূল পেয়েছে যথাক্রমে ৬টি করে আসন। সিপিএম পেয়েছে ৩টি এবং সিপিআই পেয়েছে ১টি আসন। প্রধান পদের জন্য কংগ্রেস ও তৃণমূল দু’টি দলই প্রার্থী দেয়। সিপিএম ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি। তবে সিপিআই সদস্য ভোটাভুটিতে অংশ নেন। ৭টি ভোট পেয়ে জিতে যান তৃণমূল প্রার্থী। কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্রের অভিযোগ, “সিপিআইয়ের সমর্থন নিয়ে তৃণমূল বোর্ড গঠন করেছে।” সিপিআই সদস্যের ভোট যে তাঁরা পেয়েছেন সে কথা স্বীকার করে তৃণমূল নেতৃত্ব জানান, ওই সদস্য আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ফলে তাঁর সমর্থন নেওয়ার ক্ষেত্রে ভুল কিছু হয়নি। সিপিআই সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। |