|
|
|
|
মানিকই ভরসার মুখ, কেন্দ্রীয় কমিটি এ বার আগরতলায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
উত্তর-পূর্বের একটি ছোট্ট রাজ্যে বামেদের একমাত্র গড় আগলাতে পেরেছেন তিনি। নিজের রাজ্যের বাইরে এখন দলে কদর বাড়ছে সেই মানিক সরকারের।
সিপিএমের বিভিন্ন গণসংগঠনের কর্মসূচিতে ত্রিপুরার বাইরে এখন বেশি করে ডাক পড়ছে দেশের একমাত্র বাম-শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। আবার তাঁর রাজ্যে এই প্রথম কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক করতে যাচ্ছে সিপিএম। ডিসেম্বরে ওই বৈঠক হবে আগরতলায়। সচরাচর শীত কালে কেন্দ্রীয় কমিটির একটি বৈঠক দিল্লির বাইরে হয়। কলকাতার বদলে এ বার যা হচ্ছে আগরতলায়। দলে মানিকবাবুর বাড়তি গুরুত্বই এই সিদ্ধান্তের নেপথ্য কারণ বলে সিপিএম সূত্রের ব্যাখ্যা।
এই মাসেই দিল্লিতে সংসদ অভিযান ছিল যুবদের। সেই উপলক্ষে ডিওয়াইএফআইয়ের জমায়েতে আমন্ত্রিত ছিলেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মানিকবাবু। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ‘দিল্লি চলো’র ডাক দিয়েছে দলের ছাত্র সংগঠন। রাজধানীতে এসএফআই-ও সেই কর্মসূচিতে হাজির করছে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে। পলিটব্যুরোর তরফে ছাত্র ফ্রন্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত সীতারাম ইয়েচুরির ওই সময় কানাডায় থাকার কথা।
কেরলে কিছু দিন আগেই ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্মেলনের সমাবেশে আমন্ত্রিত হন মানিকবাবু। এ বার খাস দিল্লিতে যুব ও ছাত্রদের কর্মসূচিতেও তাঁর উপস্থিতি দলে মানিকবাবুর গুরুত্বের সূচক হিসাবেই দেখা হচ্ছে বাম রাজনীতির অন্দরে। বক্তা হিসাবে খুব ধারালো, এমন সুনাম বিশেষ নেই তাঁর। সাধারণত্বই তাঁর অসাধারণত্ব। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্যের কথায়, “দেশ জুড়ে যে বিকল্প নীতির লড়াইয়ের কথা আমরা বলি, তার উদাহরণ হিসাবে ত্রিপুরাকে তুলে ধরার কাণ্ডারী মানিকবাবুই। সংসদীয় রাজনীতিতে এক জন মুখ্যমন্ত্রীরও আলাদা গুরুত্ব আছে। তাই ওঁকে বেশি দৌড়তে হচ্ছে।”
ছোট রাজ্য হলেও জাতীয় দরবারে ত্রিপুরার গুরুত্ব তুলে ধরতে মানিকবাবুও চেষ্টার কসুর করছেন না। এ বারের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের ফাঁকেই দিল্লির চাণক্যপুরীতে তাঁর হাতে উদ্বোধন হয়েছে নবসজ্জিত ত্রিপুরা ভবনের। যেখানে মানিকবাবুর সঙ্গে ছিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট। দিল্লিতে ত্রিপুরার জন্য অন্য একটি ভবনের ব্যবস্থা আগেই হয়েছে। আরও বেশি ত্রিপুরাবাসীর সুবিধার্থে পুরনো বাড়িটিও গড়া হয়েছে নব কলেবরে।
|
|
|
|
|
|