|
|
|
|
সঙ্ঘের অযোধ্যা যাত্রায় না অখিলেশের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
লোকসভা ভোটের মুখে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অযোধ্যা যাত্রার অনুমতি দিল না উত্তরপ্রদেশের অখিলেশ সিংহ যাদব সরকার। কিন্তু যাত্রা জারি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
এই যাত্রার অনুমতি চেয়ে গত সপ্তাহে মুলায়ম সিংহ যাদব ও অখিলেশের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারা। অযোধ্যায় বিতর্কিত স্থলে রামমন্দির নির্মাণের দাবিতে তিনশো কিলোমিটার অযোধ্যা যাত্রা করে হিন্দু আবেগকে উস্কে দিতে চেয়েছিল সঙ্ঘ পরিবার। কিন্তু সঙ্ঘের নেতাদের সঙ্গে পিতা-পুত্রের বৈঠকের পর থেকে খোদ সমাজবাদী পার্টির ভিতরেই বিতর্ক শুরু হয়। দলের নেতা আজম খান প্রকাশ্যেই বলেন, “সংখ্যালঘুরা আদৌ এই বৈঠকটি ভাল চোখে দেখেননি।” তার উপরে মুলায়মের প্রতিপক্ষ মায়াবতীও মুলায়মের সঙ্গে বিজেপি-র ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলে সমাজবাদী পার্টির অস্বস্তি বাড়িয়ে তোলেন। ফলে, আজ অখিলেশ সরকার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যাত্রার অনুমতি না দেওয়ারই সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও অনুমতি না দেওয়ার পিছনে ভিন্ন কারণ দেখানো হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যায় আপাতত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার রায় দিয়েছে। প্রত্যাশিত ভাবেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতাদের দাবি, সংখ্যালঘু নেতাদের চাপে ও সেই ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখেই হিন্দু সমাজকে ‘অপমানিত’ করেছেন মুলায়ম সিংহ যাদব। পরিষদের নেতা প্রকাশ শর্মা আজ বলেন, “নিছকই সংখ্যালঘু নেতাদের চাপে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতারা জানিয়ে দিয়েছেন, নির্ধারিত কর্মসূচি মেনেই যাত্রা হবে। সন্তরা গোটা দেশ থেকে পৌঁছবেন। উত্তরপ্রদেশ সরকার রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিচার করুক।
সঙ্ঘ সূত্রের মতে, যাত্রার অনুমতি পাওয়া গেলে নিঃসন্দেহে রামমন্দির নির্মাণের প্রশ্নে হিন্দু আবেগকে আরও জাগানো সম্ভব হত। এক সময় যে রামমন্দির যাত্রার মাধ্যমে বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক বেড়েছিল, সঙ্ঘ এ বারে সেই কৌশলই নিতে চাইছে। নরেন্দ্র মোদী যেমন একদিকে উন্নয়নের কথা বলবেন, সঙ্ঘ পরিবার হিন্দুত্ব করবে। এটাই যৌথ রণকৌশল। কিন্তু অনুমতি পাওয়া না গেলেও সঙ্ঘ এই যাত্রা জারি রাখার কথা বলে তাদের অবস্থান থেকে সরে আসতে চাইছে না।
বিজেপি মনে করছে, উত্তরপ্রদেশে মোদীর ঘনিষ্ঠ নেতা অমিত শাহকে যে লক্ষ্যে উত্তরপ্রদেশে পাঠানো হয়েছে, সেটি ঠিকমতো পূরণ হচ্ছে না। মোদীর বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুরা এককাট্টা হচ্ছে বটে, কিন্তু হিন্দুরা বিজেপি-র পক্ষে একজোট হচ্ছে না। তাই উত্তরপ্রদেশে হিন্দু আবেগ জাগানো প্রয়োজন। সেই কাজটি সঙ্ঘকে করতে হবে।
|
|
|
|
|
|