দুই শিশুকন্যা আগেই মারা গিয়েছে। হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি তাদের মা-ও। শনিবারের ওই ঘটনায় বধূর পরিবারের লোকজন শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে পরের দিনই অভিযোগ জানালেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি। সোমবার ওই বধূকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ দিকে বধূর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পলাতক বলে পুলিশের দাবি। জেলার পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান হয়েছে। ওরা পলাতক। প্রত্যেককেই ধরার চেষ্টা হচ্ছে।” অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় এ দিনও ওই বধূর জবানবন্দি নিতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার রাতে অভিযোগ পাওয়ার পরে পুলিশ সুপার সি সুধাকরের নির্দেশে সাঁইথিয়া থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে। আমোদপুর ফাঁড়ির আইসি মিলনকুমার ঘটক রাতেই বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ বধূর জবানবন্দি নিতে যান। কিন্তু শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় তা নেওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, বীরভূমের সদর সিআই-এর নেতৃত্বে রবিবার রাত ও সোসামবার সকালে সাঁইথিয়ার খাঁয়েরপাড়া গ্রামে অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। অগ্নিদগ্ধ বধূ কাজল গড়াইয়ের শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা পালিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ দিকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে দুই হাতে পুড়ে যাওয়ার ক্ষত নিয়ে ভর্তি ওই বধূর স্বামী বাপ্পাদিত্য গড়াইকেও দেখতে পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে সাঁইথিয়া থানার খাঁয়েরপাড়া গ্রামে দুই শিশুকন্যা-সহ স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। রবিবার এই মর্মে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন ওই বধূর মা।
|