পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে দুর্নীতির অভিযোগ তুলল সিপিএম। কালনা ২ ব্লকের বাদলা পঞ্চায়েতে লটারির মাধ্যমে সোমবার বোর্ড গঠন হয়। সেই পদ্ধতিতেই দুর্নীতি হয়েছে বলে সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ। যদিও তৃণমূল বা প্রশাসনের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
সোমবার শেষ দিনে নির্বিঘ্নেই বোর্ড গঠন হল নানা পঞ্চায়েতের। বাদলায় ১৬টি আসনের মধ্যে সিপিএম এবং তৃণমূল ৮টি করে আসন পায়। লটারির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। সিপিএমের কালনা জোনাল সম্পাদক করুণা ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “বাদলায় দুর্নীতিকে আশ্রয় করেই আমাদের হারানো হয়েছে। কোথাও লিখিত অভিযোগ জানাইনি। কারণ, প্রশাসনই তো দুর্নীতিতে যুক্ত। প্রতিবাদে ওই পঞ্চায়েতে আমরা উপপ্রধান পদে কোনও প্রার্থী দিইনি।” রবিবার কালনায় এক বৈঠকে পুলিশ-প্রশাসনের তরফে পঞ্চায়েতের আশপাশে কোনও রাজনৈতিক জমায়েতের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। করুণাবাবুর দাবি, বাদলায় তৃণমূল তা লঙ্ঘন করলেও কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। যদিও তাদের তৃণমূলের কালনা ২ ব্লক সভাপতি প্রণব রায়ের বক্তব্য, “নিয়ম মেনেই বোর্ড গঠন হয়েছে। সিপিএম জনসমর্থন হারিয়েছে বলে মিথ্যা অভিযোগ করছে।”
এই ব্লকের বাকি তিনটি পঞ্চায়েতের মধ্যে সিপিএম বোর্ড দখল করে একমাত্র বড়ধামাসে। অকালপৌষ পঞ্চায়েতে দু’জন এআইডিএফ সদস্যের সমর্থনে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। প্রধান হিসেবে তৃণমূল ও উপপ্রধান হিসেবে এআইডিএফ সদস্য নির্বাচিত হন। পূর্ব সাতগাছিয়ায় বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। পূর্বস্থলী ১ ব্লকের জাহান্নগর পঞ্চায়েতেও বোর্ড গঠন করে তৃণমূল।
পূর্বস্থলী ২ ব্লকের মেড়তলা, নিমদহ, কালেখাঁতলা ২, পূর্বস্থলী এবং মাজিদা পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন পর্ব ছিল। মাজিদায় বিজেপি এবং সিপিএম যৌথ ভাবে বোর্ড গঠন করে। বিজেপি-র প্রধান ও সিপিএম উপপ্রধানের পদ পায়। মেড়তলা এবং কালেখাঁতলা ২ পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে সিপিএম। পূর্বস্থলী এবং মাজিদা পঞ্চায়েতে প্রধান ও উপপ্রধান হন তৃণমূলের সদস্য।
মন্তেশ্বর ব্লকের মন্তেশ্বর, পুঁড়শুড়ি, বামুনপাড়া, মামুদপুর ১ ও ২ এবং দেনুড় পঞ্চায়েতের মধ্যে একমাত্র দেনুড়ে সিপিএম বোর্ড গঠন করেছে। বাকিগুলি গিয়েছে তৃণমূলের দখলে।
খনি শ্রমিকদের বিক্ষোভ। কয়েক দফা দাবিতে শাকতোড়িয়ায় ইসিএলের সদর দফতর ঘেরাও করল আইএনটিইউসি অনুমোদিত কোলিয়াড়ি মজদুর ইউনিয়ন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চন্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কয়লা থাকা ভূগর্ভস্থ খনি বন্ধ না করা, অবসরের বয়স ৬২ করা-সহ নানা দাবিতে তাঁদের এই আন্দোলন। |