পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে এক পুলিশকর্মীকে অসম্মান করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বর্ধমান রাজ কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। বর্ধমান থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা জানান, রবিবার সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগের পরীক্ষা ছিল এই কলেজে। কলেজের অ্যানেক্স ভবনে ডিউটিতে ছিলেন জেলা পুলিশের এক আধিকারিক। অভিযোগ, দুপুর সোয়া ১২টা নাগাদ অধ্যক্ষ সুভাষচন্দ্র নন্দী অশোভন আচরণ করে তাঁকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেন। রাতেই ইন্সপেক্টর মীর বর্ধমান থানায় এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১, ৩৩২, ১৮৬, ৩৫৩, ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করেছে। তবে অধ্যক্ষের দাবি, “পরীক্ষা গ্রহণকারী রাজ্য পুলিশ থেকে আমাকে বলা হয়েছিল ১২টার পরে কোনও পরীক্ষার্থীকে যেন হলের ভেতর ঢুকতে দেওয়া না হয়। আমি তেমনই ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। হঠাত্ আমাদের এক কর্মী দিলীপ মুখোপাধ্যায় এসে জানান, নির্ধারিত সময়ের পরে এক পরীক্ষার্থীকে হলে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। আমি সৌমেন্দ্রকুমার রাম নামের ওই পরীক্ষার্থীকে তখনিই বের করে দিই। দায়িত্বপ্রাপ্ত দারোয়ানকেও বকাঝকা করি। তখন দারোয়ান বলেন, কয়েকজন পুলিশ অফিসার জোর করে ওই পরীক্ষার্থীকে ঢুকিয়ে দিয়ে গিয়েছেন। পরে এক ডিআইবির কর্মী হলের ভেতর এক ফোটোগ্রাফারকে ডেকে নিয়ে এসে পরীক্ষার হলের ভেতর ছবি তোলাচ্ছিলেন। তাঁকে ও ফোটোগ্রাফারটিকেও বের করে দেওয়া হয়। এই নিয়ে পুলিশের লোকেদের সঙ্গে আমার গোলমাল শুরু হয়। আমি অবাঞ্ছিতদের পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যেতে বলি। ডিউটিতে থাকা এক পুলিশ অফিসারও পরীক্ষা কেন্দ্র ছেড়ে চলে যান। তবে তাঁকে বারবার বলা হয়েছিল, তিনি থাকতে পারেন।” সুভাষবাবুর অভিযোগ, এরপরেই কলেজের সান্ধ্য শাখার এক কর্মীকে পুলিশ পরীক্ষা কেন্দ্রের কাছে জল খেতে যাওয়ার কারণে মারধর করেন। তাঁকে আটকেও রাখা হয়। দীর্ঘক্ষণ পরে গৌতম মান নামে ওই কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করান সান্ধ্য শাখার ইনচার্য শেখ সেলিম। তাঁর আরও অভিযোগ, পরে উপস্থিত পুলিশ কর্মীদের তিনি ঘরে বসিয়ে তাঁরা কীসে অসন্তুষ্ট হয়েছেন তা জানাতে বলেন। কিন্তু তাতে তাঁরা রাজি হননি। |