কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বা সভা ডেকে দলের কর্মীদের সঙ্গে প্রার্থীদের পরিচয়পর্ব ছাড়াই বর্ধমান পুরসভার ২৩টি ওয়ার্ডে মনোনয়ন জমা দিল বামেরা। সোমবার সিপিএমের ১৮ জন, আরএসপি-র তিন জন ও ফরওয়ার্ড ব্লকের দু’জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বলে জানান সিপিএমের শহর জোনাল কমিটির সম্পাদক তাপস সরকার।
অন্য বারের মতো এ বার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বা পরিচয়পর্বের সভা হল না কেন? তাপসবাবু বলেন, “বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিচার করেই আগাম কোনও ঘোষণা ছাড়া আমরা মনোনয়ন পেশের পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। আমাদের ২৩ জন প্রার্থী নিরুপদ্রবেই এ দিন মনোনয়ন জমা দিতে পরেছেন।”
তৃণমূলের কেউ অবশ্য এ দিন মনোনয়ন জমা দেননি। বিকেলের মধ্যে প্রার্থী তালিকা চুড়ান্ত না হওয়ার জন্যই এ দিন তা হয়নি বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। তবে রাতে ৩৫ জনের প্রার্থিতালিকা তৈরি হয়ে গিয়েছে এবং আজ, মঙ্গলবার তাঁরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রার্থিপদ চেয়ে প্রতি ওয়ার্ড থেকেই বেশ কয়েক জন করে দলীয় নেতা-কর্মীর নাম উচ্চ নেতৃত্বের কাছে জমা পড়েছিল। তাই প্রার্থী বাছাইয়ে খানিকটা সমস্যায় পড়েন তৃণমূল নেতারা। |
কংগ্রেসের তরফেও এ দিন কয়েকটি ওয়ার্ডে মনোনয়ন জমা পড়ে। জেলা কংগ্রেস নেতা ও দলের পুরভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাশীনাথ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “পাঁচ বছর আগে তৃণমূলের সঙ্গে আমাদের জোট গড়ার কথা হয়েছিল। তাই প্রার্থীদের মনোনয়ন পেশ করতে যথেষ্ট দেরি হয়ে যায়। এ বার সেই সমস্যা নেই। তাই প্রতিটি ওয়ার্ডেই আমাদের প্রার্থী চূড়ান্ত। তাঁরা মনোনয়ন জমা দেওয়াও শুরু করেছেন।”
বামফ্রন্ট যে ২৩টি ওয়ার্ডে এ দিন মনোনয়ন জমা দেয়, তার মধ্যে নেই বিদায়ী পুরপ্রধান আইনুল হক। তিনি যেখান থেকে জয়ী হয়েছিলেন সেই ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এ বার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন শিক্ষক অতনু হুই। আইনুল হক এ বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি না, সে প্রশ্নে তাপসবাবুর জবাব, “এখনও তো সব ওয়ার্ডে মনোনয়ন জমা পড়েনি। অপেক্ষা করে দেখুন।”
সিপিএমের ১৮ জন প্রার্থীর মধ্যে গত পুরবোর্ডে থাকা কাউন্সিলরদের মধ্যে রয়েছেন মাত্র চার জন। তাঁরা হলেন মিতালী দাঁ, তড়িত্ ঘোষ, ইন্দ্রজিত্ ওঝা ও অরিন্দম মৌলিক। ফরওয়ার্ড ব্লকের অঞ্জনা দাসও পুরনো কাউন্সিলার। ফ্রন্টের বাকি ১৮ জনই নতুন মুখ। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএমের দু’জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, শিবশঙ্কর সাহা ও দুলালচন্দ্র দে। তাপসবাবু বলেন, “ওঁদের মধ্যে এক জন ‘ডামি’ প্রার্থী।” |