ছবি: ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য
জেরক্স যুগের আগে কার্বন কপিই ছিল। মার্কশিট তো কার্বন কপি হত না, ওই ‘প্রোফর্মা’য় টাইপ করাতে হত, তার পর গেজেটেড অফিসার দ্বারা অ্যাটেস্টেশন। মার্কশিট টাইপ করাতে গিয়েই ভড়বাবুর সঙ্গে আলাপ। উনি ‘অফিশিয়াল লেটার’ টাইপ করাচ্ছিলেন। আমার মার্কশিট দেখে বলেছিলেন, ‘কেমিস্ট্রি’? আমি মাথা নাড়াই। হ্যাঁ। কাজ করছ কিছু? অন্য রকম মাথা নাড়াই। না! কাজ করবে? চাকরি? অনেকটা মাথা নাড়াই, হ্যাঁ-অ্যাঁ-অ্যাঁ...।
নিমু গোস্বামী লেন-এ ওঁর ল্যাব। ওখানে তৈরি হয় সিলভার নাইট্রেট। চিত্‌পুরের যাত্রাপাড়ায় তখন অনেক ছোট ছোট সোনা-রুপোর দোকান ছিল। ওখানে ব্রিটিশ আমলের কয়েন পাওয়া যেত। অনেকের বাড়িতেই রুপোর কয়েন থাকত, পূর্বপুরুষরা জমিয়ে রেখেছিলেন। অধঃপুরুষরা অধঃপাতে গিয়ে ওই সব রুপোর কয়েন বিক্রি করে দিত ও-পাড়ায়। অধঃপাতে যাওয়ার ব্যবস্থা আশেপাশেই ছিল। বারাঙ্গনা সমারোহ।
শিল্প স্থাপনের কতগুলো স্ট্র্যাটেজি থাকে। এর মধ্যে অন্যতম হল স্পট বাছাই। কয়লা এবং লোহার খনি কাছাকাছি থাকলে ইস্পাত শিল্প হয়, খনিজ তেল শোধনাগারের কাছে প্লাস্টিক শিল্প, চিটফান্ড থাকলে অনেক খবরকাগজ এবং সেই সঙ্গে কর্মহীনতা থাকলে ঠোঙা শিল্প, ঝুপড়ি থাকলে চুবড়ি ও চুল্লু শিল্প, আবার চুল্লু-নিকটবর্তী অঞ্চলে চাট শিল্প গড়ে তুলতে সুবিধা হয়। শোভাবাজার, জোড়াসাঁকো, আহিরীটোলা ইত্যাদি ক্ষয়িষ্ণু বনেদি পাড়া কাছাকাছি ছিল বলে রুপোর কয়েন ক্রয়-বিক্রয় কেন্দ্র গড়ে উঠেছিল এবং ওখানেই সিলভার নাইট্রেট শিল্প স্থাপন করেছিলেন ভড়বাবু। জমির সমস্যা হয়নি। শিল্প করতে গেলে একর-একর জমি লাগে একদম বাজে কথা। মাত্র দুশো পঞ্চাশ বর্গফুটেই সিলভার নাইট্রেট শিল্পটি স্থাপিত হয়েছিল। একটা ঘর ছিল দশ ফুট বাই দশ ফুট। ওটা ছিল অফিস রুম কাম স্টোর রুম। আর একটা ঘর পনেরো বাই দশ, ওটা ছিল ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট। ওখানেই রুপোর কয়েন নাইট্রিক অ্যাসিডে চোবানো হত। সাদা-সাদা যে অধঃক্ষেপ পড়ত, সেটা সিলভার নাইট্রেট। যদিও ওর মধ্যে কিছু খাদ থেকে যেত। খাদ পরিষ্কার করার প্রক্রিয়াটা বলছি না। সেই সাদা পাউডারের মতো সিলভার নাইট্রেটকে ক্রিস্টালে পরিণত করে কৌটোয় ভরে আমি পৌঁছে দিতাম বসুমতী, সরস্বতী প্রেস, ঈগল লিথো-য়। ব্লক তৈরি করতে সিলভার নাইট্রেট দরকার হত। খবরকাগজ ছাপারও একটা পর্যায় গেছে, যখন ফোটোগ্রাফিক প্লেটের দরকার হত। এবং সেখানে অবশ্যম্ভাবী সিলভার নাইট্রেট।
ভড়বাবুর সিলভার নাইট্রেট শিল্প কয়েক জনের কর্মসংস্থানও করেছিল। ভড়বাবু নিজে, ওঁর স্ত্রী, জল তোলা এবং ঘর পরিষ্কার করার ছবিদি আর আমি। রুপোর কয়েন কিনে আনতেন ভড়বাবু নিজেই। মেঝেতে ফেললে ঠং শব্দ শুনে বলে দিতে পারতেন নাইনটি টু পার্সেন্ট সিলভার, নাকি নাইনটি সিক্স পার্সেন্ট। একটা রৌপ্যমুদ্রার দাম ছিল ২০/২৫ টাকা। ওর সঙ্গে দু’টাকা পরিমাণ নাইট্রিক অ্যাসিড যোগ করলে যে সিলভার নাইট্রেট পাওয়া যেত, তার বাজার দর পঞ্চাশ টাকা। সুতরাং, লাভজনক ব্যবসাই বলা যায়।
বিকারে অ্যাসিড ঢেলে কত রাজা-রানিকে দ্রবীভূত করে দিয়েছি...। রানি ভিক্টোরিয়া, পঞ্চম জর্জ, ষষ্ঠ জর্জ কাউকে বাদ দিইনি। ভড়বাবু আবার এই সব ইংরেজ রাজার মুন্ডু খোদাই করা মুদ্রাগুলোকে অ্যাসিডে ফেলার আগে বলতেন ‘বন্দে মাতরম্’। ভড়বাবুর তখন বছর চল্লিশ বয়স হবে। ওঁর স্ত্রী তিরিশের কাছাকাছি, না কি আরও কম। বেশ সুন্দরী ছিলেন। ওঁকে বউদি ডাকতাম। ওই ঘরের ঝাঁঝালো গন্ধের মধ্যেও একটা বনেদি সুবাস পেতাম। উনি বড় ঘরের মেয়ে ছিলেন। ভড়বাবুরাও বনেদি লোক। তালমিছরি শিল্পের দুলাল চন্দ্র ভড়ের নাকি কী রকম লতায়-পাতায় আত্মীয় হন। শুনেছিলাম, ভড়বাবু জার্মানি গিয়েছিলেন, পিএইচ ডি করতে। ওখানে তেলেভাজা আর রোয়াক নেই বলে চলে এসেছিলেন।
দু’মাস মতো কাজ করেছিলাম ওখানে। উইম্‌কো-র দেশলাই কারখানায় চাকরি পেয়ে চলে যাই। ভড়-বউদি রাধাবল্লভি আর লেডিকেনি খাইয়েছিলেন। সালটা ১৯৭৩।
১৯৮৫ সাল নাগাদ ওখানে যাই। দেখলাম, ভড়-বউদির দুটো গালই বিচ্ছিরি রকম কুঁকড়ে গিয়েছে। জিজ্ঞাসা করি অ্যাসিড পড়েছিল? বউদি বলেছিলেন না, তোমার দাদা পাউডারের পাফ নাইট্রিক অ্যাসিডে ভিজিয়ে আমার দুই গালে ঘষে দিয়েছে।
কেন?
ভালবেসে।
বুঝতে পারছি না, কী বলছেন...
উনি বললেন রুপোর দাম বাড়তে লাগল খুব। আবার ছাপার টেকনিকও পালটে যেতে লাগল। সিলভার নাইট্রেটের কদর নেই, দাম কমতে লাগল। কয়েনের সাপ্লাইও শেষ। যার ঘরে যা ছিল, বেচে দিয়েছে। তখন আমাদের ঘরের রুপোর বাসনগুলো টুকরো টুকরো করে কাটিয়ে অ্যাসিডে ফেলতে লাগল, পাগলের মতো। এক দিন আদর করে দু’গালে অ্যাসিড। বলল, এর পর আর আমাকে ছেড়ে যেতে পারবে না তুমি।
’৯০ সাল নাগাদ একটা যাত্রার বিজ্ঞাপন দেখলাম, ‘ঘরের বউ কাঁদে’। কুঁচকে যাওয়া মুখের এক নারীর ছবি। চিনতে পারলাম। যাত্রাও তো শিল্প, না কি?


• মেট্রোয় সকলে আপনাকেই হাঁ করে দেখছিল। হ্যান্ডসাম লাগছে ভেবে খুব অ্যাটিটিউড নিলেন।
বাড়ি ফিরে দেখলেন, প্রেমিকাকে গুডনাইট কিস করার ফলে গালে পিংক লিপস্টিক লেগে!
• সারা দিন বাইরে ঘুরতে হবে বলে সকালে
উঠেই মোবাইলে চার্জার লাগিয়ে দিয়েছেন। নিজেকে
করিতকর্মা ভেবে পিঠ চাপড়েছেন। ঘণ্টা দুই পরে
বেরোবার আগে দেখলেন, সুইচ অন করতে ভুলেছেন!
• নেমন্তন্নের আগে পাশের পাব-এ ঢুকলেন।
তার পর বিয়েবাড়িতে পঞ্চাশটা লুচি খেলেন। বরকর্তা
খুব আপ্যায়ন করল কিন্তু পাঁচশো টাকার বিলও আনল। তখন
নেশা কাটতে বুঝলেন, বিয়েবাড়ি ভেবে কচুরির দোকানে ঢুকে পড়েছেন।

পুঞ্চে পাক সেনার গুলিতে মারা গেলেন চার জন ভারতীয় বিহারি সেনা জওয়ান। মৃতদেহগুলি বিমানে উড়িয়ে আনা হল, কিন্তু বিহারের কোনও মন্ত্রীই বিমানবন্দরে কেন এলেন না, প্রশ্নের উত্তরে বিহারের পঞ্চায়েত মন্ত্রী ভীম সিং বললেন, শহিদ জওয়ানদের নিয়ে অত মাতামাতির কী আছে, সেনা অউর পুলিশ মে লোগ মরনে হি যাতে হ্যায়। ওঁরা তো আর্মি-পুলিশে যোগই দেন মরতে! কথা চাউর হতেই তুমুল ছিছি, যুদ্ধং দেহি বিরোধী দলের অমুক বললেন, এই মন্ত্রীর কানটা ছিঁড়ে নিয়ে হাতে ইস্তফা ধরানো হোক। ভীম গোড়ায় বেপরোয়া, পরে বললেন বিবৃতি বিকৃত করা হয়েছে, তারও পরে বিব্রত-বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রীর ধমকে কথা গিললেন, ক্ষমা চাইলেন। মন্ত্রী হয়ে কেউ কী করে এমন অভদ্র, অ-মানবিক কথা বলতে পারেন, চর্চা নিরর্থক। ক্ষমতা+মন্ত্রিত্ব=অষ্টপ্রহর যা-খুশি বলার সাংবিধানিক অধিকার, ভারতে স্বতঃসিদ্ধ। আরও দৃষ্টিকটু, বেআক্কেলে কথা বলে ফেলে মূর্খের ঔদ্ধত্যে তা ডিফেন্ড করার চেষ্টা, পরে পরিস্থিতির রিভার্স সুইং বুঝতে না পেরে সম্মানের উইকেট খুইয়ে ‘বল ট্যাম্পারিং হয়েছে’ বলে বুধোর ঘাড়ে দোষের পিন্ডি চাপানো। জওয়ানের ডিউটি দেশের জন্য প্রাণ দেওয়া, তা বলতে জিভ সুড়সুড়, আর মন্ত্রীটিরও কম্ম যে বেফালতু বচন না আউড়ে কিছু কাজের কাজ করা, বুঝে কাজ নেই। এদেরই আমরা ভোট দিয়ে মন্ত্রী বানাই, দুর্ভাগ্য।

সারা বিশ্বে মোট যত জন মুসলিম নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন, এক কেমব্রিজ-এর ট্রিনিটি কলেজেই তার চেয়ে অনেক বেশি নোবেল-জয়ী আছেন’ বিখ্যাত লেখক-অধ্যাপক রিচার্ড ডকিন্স-এর টুইট-মন্তব্যে ভার্চুয়াল-বিশ্ব উত্তাল। আরও বলেছেন, মুসলিমদের অবদান-কীর্তি (যেমন অ্যালকেমি) সব মধ্য যুগে, তার পর ‘নিল’। কেউকেটারা বললেন, ডকিন্স আসলে ইসলাম-বিরোধী, মুসলিম-ব্যাশিং দিয়ে প্রকারান্তরে নিজের তাত্ত্বিক গোঁড়ামি কপচাচ্ছেন। অনুযোগ ভিত্তিহীন, বলা যাবে না। এখনও অবধি ১০ জন মুসলিম নোবেল পেয়েছেন, আর ট্রিনিটির নোবেল-জয়ী ৩২ জন, এটা যেমন ‘ফ্যাক্ট’, তেমনই সত্য, এর সঙ্গে ধর্ম-জাতিবিশেষের নো রিলেশন। নোবেল হল মৌলিক চিন্তা-গবেষণা-উদ্ভাবনের জগতে একটা অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি, তার সঙ্গে বেমক্কা গা-জোয়ারি কোনও ধর্মকে মেলানো কেন? ট্রিনিটিবাসী যত জন নোবেল পেয়েছেন, বিশ্বে তত জন ভারতীয়, বা চিনে, বা সাঁতারু, বা বাঁ-হাতিরাও তত নোবেল পাননি। ট্রিনিটিবাসীরা হয়তো অস্কারপ্রাপ্তির ময়দানে নিতান্তই দুধুভাতু! আর নোবেল-প্রাপ্তিই যে একটি জাতি বা গোষ্ঠী বা দেশের পরম-চরম লক্ষ্য, কে বললে?

৯৩
দক্ষিণ কোরিয়ায় যত
শতাংশ ছাত্রছাত্রী হাই স্কুল
গ্র্যাজুয়েট। আমেরিকায় ৭৭%
৪০৯৬
দেশের মোট যত
কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আছে
ভারত-বাংলাদেশ সীমানা
১৭
যতগুলো লোকসভা আসন আছে
ভারতের নব-ঘোষিত রাজ্য তেলঙ্গানায়।
বিধানসভা আসন আছে ১১৯টি
৩০০০০০
মুম্বইয়ে শাহরুখ খানের
প্রথম কেনা ফ্ল্যাট মাসিক যত
টাকায় ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে
৩৫৯৯০০
নিলামে রেকর্ড যত পাউন্ডে বিক্রি
হল বিট্ল্স-গায়ক জন লেনন-এর
কেনা প্রথম ফেরারি গাড়ি
৮০০০০
এ রাজ্যে প্রতি বছর
অন্তত যত সংখ্যক মানুষ
ক্যানসারের শিকার হন
৬৯
আইসিসি হল অব ফেম-এ
যত নম্বর সদস্য হিসেবে
অন্তর্ভুক্ত হলেন ৭০৮ টেস্ট
উইকেটের মালিক শেন ওয়ার্ন
৯২০০
২০১২-র শেষে সুইস ব্যাংকগুলিতে মোট যত কোটি টাকা মূল্যের পাকিস্তানি টাকা জমানো আছে বলে জানাল সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক। ভারতীয়দের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ ৯১০০ কোটি
১০.৭১
মস্কোয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে যত সেকেন্ডে ১০০ মিটার দৌড়ে সোনা জিতলেন বিশ্বের দ্রুততমা মানবী শেলি-অ্যান ফ্রেজার প্রাইস


সী


রা
য়
মধ্যবিত্ত প্রাণে কী দুঃখ বাজে?
চোখে এত জল কেন... বল আন্দাজে।
চিটফান্ড... ধর্ষণ... পাহাড়ের বর্ষণ?
পারলে না। চোখ জ্বলে পেঁয়াজের ঝাঁঝে!
বেসুরে গাইলে অসুরে ধরবে বোঝেনি দুর্গাশক্তি
বোঝেনি আইনপ্রণেতা-বাবু’র আইনেই অনাসক্তি
মাফিয়ারা আছে ধুলোতে বালিতে
চাইলেই পারে ছক্কা চালিতে
ভোট জেতানোর পান্ডারা চায় বেআইনি ভয়ভক্তি
লেটারিং বেটারিং



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.